নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসের কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে ইসরায়েলকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, জেরুজালেম এলাকায় অগ্নিনির্বাপক দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তবে ইসরায়েল এখনো সেই প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি। এদিকে, আগুন নেভাতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে ইসরায়েল।
তবে জানা গেছে, এর আগেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ দলগুলো ইসরায়েলে বড় আকারের আগুন নেভাতে সহায়তা করেছে।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বর্ণনা করে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, দাবানলের আগুন নেভাতে ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া তিনটি অগ্নিনির্বাপক বিমান পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে। তাছাড়া গ্রিস, সাইপ্রাস ও বুলগেরিয়ার সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস প্রধান শমূলিক ফ্রিডম্যান বলেন, এটি সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানল। তিনি সতর্ক করে বলেন, ঘণ্টায় ৬০ মাইলের বেশি গতির বাতাস পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
দাবানলের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেল আবিব ও জেরুজালেমকে সংযুক্ত করা প্রধান সড়ক ‘রুট ১’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ব্যস্ত মহাসড়কের পাশেও। মানুষ ধোঁয়ার মধ্যে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছে। পরে জরুরি সহায়তা কর্মীরা ফাঁকা গাড়ির সারির মাঝে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন, কেউ আটকা পড়ে আছে কি না খুঁজে দেখছিলেন।
শমূলিক ফ্রিডম্যান বলেন, দাবানলের উৎস কী তা এখনো জানা যায়নি। তাছাড়া আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছি। দাবানল ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় রয়েছে, বিশেষ করে নেভে শালোম শহরের কাছে আগুনের তীব্রতা বেশি।
দাবানলের কারণে কমপক্ষে ১০টি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত দুটি হাসপাতালে এক ডজনের বেশি দগ্ধ ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানল মোকাবিলায় কাজ করছে ১২০টি টিম, পাশাপাশি ১২টি প্লেন ও হেলিকপ্টারও যুক্ত হয়েছে।