ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) এর আয়োজনে সিলেটে অনলাইন হয়রানী প্রতিরোধে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘রাজনীতিতে নারী’ এই শিরোনামে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপের শুরুতেই আলোচ্য বিষয়ের উপর প্রেজেন্টেশন করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আসমা আক্তার।
তিনি অনলাইনে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হওয়া নারী রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। UN Women-এর ২০২৫ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬০% নারী রাজনীতিবিদ অনলাইনে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
একই সময়ে একশন এইডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুই-তৃতীয়াংশ, প্রায় ৬৬% নারী অনলাইন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ এর তথ্য অনুযায়ী, ২৭৬ জন নারীকে নিয়ে চিহ্নিত ৫৬৭টি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়।
টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে ২৫ হাজার কন্টেন্টের মধ্যে ১,৪০০টি লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের সাথে সম্পর্কিত ছিল, এর মধ্যে ৭০% পোস্ট ছিল যৌন হয়রানীমূলক।
রিউমার স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত নয় মাসে অন্তত ২৫ জন নারী নেতা ও কর্মীকে নিয়ে অন্তত ২৩৭টি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
এছাড়া BMC Psychiatry-তে প্রকাশিত ২০২৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে যারা ১৫-৩৫ বছর বয়সী এবং সাইবারবুলিংয়ের শিকার হয়েছেন, আদের মধ্যে ২৭% মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, যার মধ্যে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার অন্তর্ভুক্ত।
International Journal of Social Science Research and Review তে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে অনলাইনে প্রতিক্রিয়া জানানো ৭.৮% নারীদের মধ্যে উচ্চমাত্রার বিষন্নতা ছিল এবং ৪৮.৮% মহিলার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
হয়রানির ফলে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অপমানের শিকার হয়ে অনেক নারী রাজনীতিবিদ রাজনীতি থেকে সরেও যান।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কনসালটেন্ট আলী ইজাদের পরিচালনায় সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা অনলাইন হয়রানী প্রতিরোধে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি 


















