, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন
বড়লেখায় সংবাদ সম্মেলন

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পূর্ব হাতলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ফ্রান্স প্রবাসী নাজিম উদ্দিন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার মৃত তছির আলীর মেয়ে তানজিলা আক্তার ছামিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর স্ত্রীকে ফ্রান্সে পাঠানোর কথা বলে নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এই টাকা গ্রহণ করেন তানজিলার মা আমিনা বেগম, ভাই তামিম আহমদ এবং খালা তানিসা জান্নাত ইবা এমনটাই মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে নিজ খরচে তানজিলাকে ফ্রান্সে নিয়ে গিয়ে কিছুদিন সংসার করার পর নাজিম উদ্দিন জানতে পারেন, তার স্ত্রী ইতোমধ্যে আরেক প্রবাসী তারেক আহমদের স্ত্রী। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রবাসী ও তার পরিবারের প্ররোচনায় তানজিলা আক্তার ছামিয়া ফ্রান্সে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন, যার ফলে তাকে ছয় মাস কারাভোগ করতে হয়। এ সময় তানজিলা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নাজিম উদ্দিনের মা রানিয়া বেগম গত ৩ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আমিনা বেগম, তামিম আহমদ ও তানিসা জান্নাত ইবাকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মৌলভীবাজার পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিনের বাবা খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

অন্যদিকে মামলার আসামিরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাজিম উদ্দিন তার স্ত্রীকে লন্ডন পাঠানোর খরচ বাবদ টাকা দিয়েছেন। পরবর্তীতে লন্ডন থেকে তিনি নিজেই স্ত্রীকে ফ্রান্সে নিয়ে যান। এর পরের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তারা জড়িত নন। তারা বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতের মাধ্যমেই হবে।

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

বড়লেখায় সংবাদ সম্মেলন

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

প্রকাশের সময় : ১৩ ঘন্টা আগে

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পূর্ব হাতলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ফ্রান্স প্রবাসী নাজিম উদ্দিন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার মৃত তছির আলীর মেয়ে তানজিলা আক্তার ছামিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর স্ত্রীকে ফ্রান্সে পাঠানোর কথা বলে নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এই টাকা গ্রহণ করেন তানজিলার মা আমিনা বেগম, ভাই তামিম আহমদ এবং খালা তানিসা জান্নাত ইবা এমনটাই মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে নিজ খরচে তানজিলাকে ফ্রান্সে নিয়ে গিয়ে কিছুদিন সংসার করার পর নাজিম উদ্দিন জানতে পারেন, তার স্ত্রী ইতোমধ্যে আরেক প্রবাসী তারেক আহমদের স্ত্রী। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রবাসী ও তার পরিবারের প্ররোচনায় তানজিলা আক্তার ছামিয়া ফ্রান্সে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন, যার ফলে তাকে ছয় মাস কারাভোগ করতে হয়। এ সময় তানজিলা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নাজিম উদ্দিনের মা রানিয়া বেগম গত ৩ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আমিনা বেগম, তামিম আহমদ ও তানিসা জান্নাত ইবাকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মৌলভীবাজার পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিনের বাবা খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

অন্যদিকে মামলার আসামিরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাজিম উদ্দিন তার স্ত্রীকে লন্ডন পাঠানোর খরচ বাবদ টাকা দিয়েছেন। পরবর্তীতে লন্ডন থেকে তিনি নিজেই স্ত্রীকে ফ্রান্সে নিয়ে যান। এর পরের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তারা জড়িত নন। তারা বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতের মাধ্যমেই হবে।