, রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক সিলেট-চারখাই-শেওলা চারলেন প্রকল্প বাতিলের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা : ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী বিশ্বনাথে এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা তারেক রহমানকে নিয়ে নাদেলের কটুক্তির প্রতিবাদে সিলেট জুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় গোলাপগঞ্জে মাদকসহ একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার জকিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বালাগঞ্জে ৮ কোটি টাকার ব্রিজে বাঁশের সাঁকো! বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ছাড়া উন্নত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয় : মো. ফয়জুল হক আমেরিকা থেকে দেশে ফিরছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী সাহসী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

রমজানের শেষ মুহূর্তের আমল যা পরকালীন মুক্তির পথ প্রশস্ত করবে

শেষ হতে চলেছে রহমত, মাগফেরাত, নাজাতের মাস রমজান। পবিত্র এই মাসের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে কিছু আমল ও করণীয় সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা এই মাসকে করবে তাৎপর্যমন্ডিত এবং আল্লাহর রহমত লাভ করা সহজ হবে এর মাধ্যমে। যারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সেহরী খেয়ে রোজা রেখে সারাদিন ইবাদত বন্দেগি করেছে তারাই কামিয়াব হবে। আর যারা বিভিন্ন অজুহাতে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেনি তারা কঠিন শাস্তির ভাগীদার হবে। দুনিয়াতে হবে চরম লাঞ্চনা বঞ্চনার স্বীকার।

মানুষ প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে, আমল ইবাদত করে। তবে মানুষ ভুল মুক্ত নয়। তাই রমজানের ইবাদতের ক্ষেত্রে যেসব ভুল হয়ে যায়। এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। যতটুকু আমলের চেষ্টা করা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা যেন তা কবুল করেন সেই দোয়া করা উচিত।
রমজান ইবাদতের মাস এই মাসে যতটুকু সম্ভব ইবাদত পালন করা উচিত। এর বাইরে পুরো বছর আমল ইবাদতের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। রমজান ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় আমল ইবাদত ফরজ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। মানুষে সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলা সুন্নত। ভালো কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা রাখতে হবে, খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, রাখতে হবে। এইগুলো নিয়মিত করতে হবে। রমজানেই এর প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পর সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। তবে রমজানেরও তা আদায় করা যায়।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.) স্বাধীন-দাস ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য গম বা খেজুরের এক সা (৩ কেজি ২৭০ গ্রাম) ফিতরা আবশ্যক করে দিয়েছেন এবং তা ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগেই আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১৫০৩)
ঈদের রাতটি অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতময়। অনেকেই এ রাতটি হেলায়-ফেলায় কাটিয়ে দেন। ফুকাহায়ে কেরাম দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থাকাকে সুন্নত লিখেছেন। তাই এ রাতের বিশেষ কদর করা উচিত। এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এক. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত, দুই. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফাত দিবসের রাত), তিন. ঈদুল আজহার রাত, চার. ঈদুল ফিতরের রাত এবং পাঁচ. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি: ২/৯৮, হাদিস : ১৬৫৬)।

পরিশেষে বলবো, আসুন রমজান বিদায় নিলেও রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর সমাজ ও ব্যক্তি জীবন গঠনের চেষ্টা করি। নিজের জীবনের অতীতকে স্মরন করে আগামীর সুন্দর জীবন গঠনে মনোযোগী হই। নিজেকে জাহির না করে সংযম অবলম্বন করে পারস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অংশীদার হই।

অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক

রমজানের শেষ মুহূর্তের আমল যা পরকালীন মুক্তির পথ প্রশস্ত করবে

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

শেষ হতে চলেছে রহমত, মাগফেরাত, নাজাতের মাস রমজান। পবিত্র এই মাসের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে কিছু আমল ও করণীয় সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা এই মাসকে করবে তাৎপর্যমন্ডিত এবং আল্লাহর রহমত লাভ করা সহজ হবে এর মাধ্যমে। যারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সেহরী খেয়ে রোজা রেখে সারাদিন ইবাদত বন্দেগি করেছে তারাই কামিয়াব হবে। আর যারা বিভিন্ন অজুহাতে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেনি তারা কঠিন শাস্তির ভাগীদার হবে। দুনিয়াতে হবে চরম লাঞ্চনা বঞ্চনার স্বীকার।

মানুষ প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে, আমল ইবাদত করে। তবে মানুষ ভুল মুক্ত নয়। তাই রমজানের ইবাদতের ক্ষেত্রে যেসব ভুল হয়ে যায়। এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। যতটুকু আমলের চেষ্টা করা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা যেন তা কবুল করেন সেই দোয়া করা উচিত।
রমজান ইবাদতের মাস এই মাসে যতটুকু সম্ভব ইবাদত পালন করা উচিত। এর বাইরে পুরো বছর আমল ইবাদতের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। রমজান ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় আমল ইবাদত ফরজ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। মানুষে সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলা সুন্নত। ভালো কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা রাখতে হবে, খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, রাখতে হবে। এইগুলো নিয়মিত করতে হবে। রমজানেই এর প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পর সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। তবে রমজানেরও তা আদায় করা যায়।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.) স্বাধীন-দাস ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য গম বা খেজুরের এক সা (৩ কেজি ২৭০ গ্রাম) ফিতরা আবশ্যক করে দিয়েছেন এবং তা ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগেই আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১৫০৩)
ঈদের রাতটি অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতময়। অনেকেই এ রাতটি হেলায়-ফেলায় কাটিয়ে দেন। ফুকাহায়ে কেরাম দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থাকাকে সুন্নত লিখেছেন। তাই এ রাতের বিশেষ কদর করা উচিত। এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এক. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত, দুই. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফাত দিবসের রাত), তিন. ঈদুল আজহার রাত, চার. ঈদুল ফিতরের রাত এবং পাঁচ. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি: ২/৯৮, হাদিস : ১৬৫৬)।

পরিশেষে বলবো, আসুন রমজান বিদায় নিলেও রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর সমাজ ও ব্যক্তি জীবন গঠনের চেষ্টা করি। নিজের জীবনের অতীতকে স্মরন করে আগামীর সুন্দর জীবন গঠনে মনোযোগী হই। নিজেকে জাহির না করে সংযম অবলম্বন করে পারস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অংশীদার হই।