, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

সিলেট চেম্বার নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়িক অঙ্গনে উৎসবের আমেজ: প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা

আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর সিলেটে চেম্বারের নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। নির্বাচনি আমেজে মুখর হয়ে উঠেছে সিলেটের ব্যবসায়িক অঙ্গন।

চেম্বার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সিলেট চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির তৎকালীন সভাপতি তাহমিন আহমদ আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌসের নেতৃত্বে চলতে থাকে এই ব্যবসায়ী সংগঠনটি। পরে চেম্বারের সদস্যদের দাবির মুখে সভাপতি ও চার পরিচালকসহ পাঁচ সদস্য পদত্যাগ করেন। এতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠনটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

এই পরিস্থিতিতে চেম্বারের কার্যক্রম সচল রাখতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর শুরু হয় নির্বাচনের প্রস্তুতি।

আসন্ন চেম্বারের নির্বাচনে অংশ নিতে দুটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে, ‘সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ ও ‘সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম’। দুই প্যানেলের ৪২ জন প্রার্থী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা এখনো প্রকাশ না হলেও প্রতিদিনই তারা সিলেট নগরীর মার্কেট, শপিংমল ও উপজেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়, লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করছেন।
এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদপ্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলি আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি পদপ্রার্থী হুমায়ুন আহমেদ এবং সহসভাপতি পদপ্রার্থী মাছুম ইফতেকার রসূল শিহাব।

অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন আক্তার হোসেন, এনায়েত আহমেদ মনি, মোহাম্মদ সাহিদুল হক সোহেলমুজাহিদ খান গুলশান, মাসনুন আকিব বড়ভূইয়া, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, ডা. নুরুল হাসান সিদ্দিকী, ইমতিয়াজ তাহমিন সুবহান বাবু, আব্দুল হাফিজ জোয়ারদার তুহিন, মোহাম্মদ এনামুল হক কুটি, মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন কচি ও আব্দুল বাছিত।

অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন চন্দন সাহা, আব্দুর রহমান, ওমর ফারুক, আবুল কালাম, মশিউর রহমান হাফিজ ও নজরুল ইসলাম।
সিলেট ব্যবসায়ী প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদপ্রার্থী এহতাশামুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি পদপ্রার্থী এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী ও সহসভাপতি পদপ্রার্থী নাফিস জুবায়ের চৌধুরী।

অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন আব্দুর রহমান রিপন, মোতাহার হোসেন, আব্দুল হাদি পাবেল, সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, ইমরান হোসাইন, আবুল কালাম, খন্দকার কাওসার আহমদ রবি, মাজহারুল হক, নাহিদুর রহমান, কামরুল হামিদ, শামসুর রহমান কামাল ও আবু সুফিয়ান।

অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন জিয়াউল হক, মোক্তাদির হোসেন তাপাদার, হাজী মামুনুর রশিদ, দিবাকর দাস ঝোটন, প্রভাষক রেহান উদ্দিন রায়হান ও ইব্রাহিম খলিল।
বুধবার সিলেট নগরী এবং বিশ্বনাথ উপজেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ‘সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা। এর আগে তারা জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা করেন।

অপরদিকে একই দিনে ‘সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম’ প্যানেলের প্রার্থীরা সিলেট নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেন।
গত ৪ আগস্ট চেম্বার নির্বাচন বোর্ড ২০২৫-এর চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরে জামান চৌধুরী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২২ অক্টোবর। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে ২৭ অক্টোবর আবারও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।
সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির পরিচালক পদপ্রার্থী আবুল কালাম বলেন, ‘দি সিলেট চেম্বারে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানই হবে আমার মূল লক্ষ্য। আমি তিন দশকের বেশি সময় ধরে আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই এ খাতে যে জটিলতা আছে, তা দাপ্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করব। ভ্যাট ও ট্যাক্স কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করব। নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করব। প্রবাসী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিলে চেম্বারের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি।’

সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী এহতাশেমুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করেই চেম্বারকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না থাকায় চেম্বার অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। আমার লক্ষ্য সিলেটকে একটি সমৃদ্ধ, ব্যবসাবান্ধব অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করা। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমার অঙ্গীকার। পাশাপাশি সিলেটকে পর্যটননির্ভর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিল্পায়নে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেব।’

সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি পদপ্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলি আহমদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, চেম্বার শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ব্যবসায়ী সমাজের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। বিজয়ী হলে আমার লক্ষ্য থাকবে চেম্বারকে আধুনিক, প্রগতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো, সদস্যদের অধিকার রক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক সেবা বৃদ্ধি করব। সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোর জটিলতা নিরসনেও কাজ করব। ব্যবসায়ীদের সমর্থন পাচ্ছি, এখন শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

সিলেট চেম্বার নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়িক অঙ্গনে উৎসবের আমেজ: প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর সিলেটে চেম্বারের নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। নির্বাচনি আমেজে মুখর হয়ে উঠেছে সিলেটের ব্যবসায়িক অঙ্গন।

চেম্বার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সিলেট চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির তৎকালীন সভাপতি তাহমিন আহমদ আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌসের নেতৃত্বে চলতে থাকে এই ব্যবসায়ী সংগঠনটি। পরে চেম্বারের সদস্যদের দাবির মুখে সভাপতি ও চার পরিচালকসহ পাঁচ সদস্য পদত্যাগ করেন। এতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠনটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

এই পরিস্থিতিতে চেম্বারের কার্যক্রম সচল রাখতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর শুরু হয় নির্বাচনের প্রস্তুতি।

আসন্ন চেম্বারের নির্বাচনে অংশ নিতে দুটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে, ‘সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ ও ‘সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম’। দুই প্যানেলের ৪২ জন প্রার্থী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা এখনো প্রকাশ না হলেও প্রতিদিনই তারা সিলেট নগরীর মার্কেট, শপিংমল ও উপজেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়, লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করছেন।
এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদপ্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলি আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি পদপ্রার্থী হুমায়ুন আহমেদ এবং সহসভাপতি পদপ্রার্থী মাছুম ইফতেকার রসূল শিহাব।

অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন আক্তার হোসেন, এনায়েত আহমেদ মনি, মোহাম্মদ সাহিদুল হক সোহেলমুজাহিদ খান গুলশান, মাসনুন আকিব বড়ভূইয়া, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, ডা. নুরুল হাসান সিদ্দিকী, ইমতিয়াজ তাহমিন সুবহান বাবু, আব্দুল হাফিজ জোয়ারদার তুহিন, মোহাম্মদ এনামুল হক কুটি, মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন কচি ও আব্দুল বাছিত।

অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন চন্দন সাহা, আব্দুর রহমান, ওমর ফারুক, আবুল কালাম, মশিউর রহমান হাফিজ ও নজরুল ইসলাম।
সিলেট ব্যবসায়ী প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদপ্রার্থী এহতাশামুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি পদপ্রার্থী এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী ও সহসভাপতি পদপ্রার্থী নাফিস জুবায়ের চৌধুরী।

অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন আব্দুর রহমান রিপন, মোতাহার হোসেন, আব্দুল হাদি পাবেল, সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, ইমরান হোসাইন, আবুল কালাম, খন্দকার কাওসার আহমদ রবি, মাজহারুল হক, নাহিদুর রহমান, কামরুল হামিদ, শামসুর রহমান কামাল ও আবু সুফিয়ান।

অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে পরিচালক পদপ্রার্থীরা হলেন জিয়াউল হক, মোক্তাদির হোসেন তাপাদার, হাজী মামুনুর রশিদ, দিবাকর দাস ঝোটন, প্রভাষক রেহান উদ্দিন রায়হান ও ইব্রাহিম খলিল।
বুধবার সিলেট নগরী এবং বিশ্বনাথ উপজেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ‘সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা। এর আগে তারা জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা করেন।

অপরদিকে একই দিনে ‘সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম’ প্যানেলের প্রার্থীরা সিলেট নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেন।
গত ৪ আগস্ট চেম্বার নির্বাচন বোর্ড ২০২৫-এর চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরে জামান চৌধুরী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২২ অক্টোবর। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে ২৭ অক্টোবর আবারও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।
সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির পরিচালক পদপ্রার্থী আবুল কালাম বলেন, ‘দি সিলেট চেম্বারে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানই হবে আমার মূল লক্ষ্য। আমি তিন দশকের বেশি সময় ধরে আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই এ খাতে যে জটিলতা আছে, তা দাপ্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করব। ভ্যাট ও ট্যাক্স কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করব। নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করব। প্রবাসী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিলে চেম্বারের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি।’

সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী এহতাশেমুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করেই চেম্বারকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না থাকায় চেম্বার অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। আমার লক্ষ্য সিলেটকে একটি সমৃদ্ধ, ব্যবসাবান্ধব অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করা। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমার অঙ্গীকার। পাশাপাশি সিলেটকে পর্যটননির্ভর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিল্পায়নে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেব।’

সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি পদপ্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলি আহমদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, চেম্বার শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ব্যবসায়ী সমাজের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। বিজয়ী হলে আমার লক্ষ্য থাকবে চেম্বারকে আধুনিক, প্রগতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো, সদস্যদের অধিকার রক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক সেবা বৃদ্ধি করব। সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোর জটিলতা নিরসনেও কাজ করব। ব্যবসায়ীদের সমর্থন পাচ্ছি, এখন শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’