, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার সিলেটে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালা ১৭ বছর বয়সে বিমানের পাইলট সিলেটের আহনাফ

সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ জন

সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনে এই অঞ্চলে ৬৯ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৬ জন।

সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগেরই ঢাকায় সাম্প্রতিক ভ্রমণ ইতিহাস রয়েছে। অনেকে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং আক্রান্ত হয়েই ফিরছে।

চার জেলায় এই বছর ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কেবল হবিগঞ্জ জেলায় ১০০ জন।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বাসস’কে বলেন, তার উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি লাখাই উপজেলার বাসিন্দা।

তিনি আরো জানান, যারাই ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে, তারা ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর পরীক্ষায় শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। এরপর চিকিৎসা নিয়ে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে, স্ক্রিনিং করে জেলার কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে ইস্যু করা দৈনিক ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে, সিলেটে ২, সুনামগঞ্জ ৩ ও হবিগঞ্জে ১ জন। এই নিয়ে চলতি মাসে সিলেটে ৬৯ জন, আগস্ট মাসে ৪৮ জন এবং জুলাই মাসে ২৯ জন শনাক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ২৬ সেপ্টেম্বর ৫ জন, ২৩ সেপ্টেম্বর ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ১৫ সেপ্টেম্বর ৪ জন, ১৪ সেপ্টেম্বর ৪ জন, ১৩ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ১১ সেপ্টেম্বর ২ জন, ১০ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ৯ সেপ্টেম্বর ২ জন, ৩ সেপ্টেম্বর ৪ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে মোট ১৪ জন সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে একজন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৩ জন, লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মোট আক্রান্তের মধ্যে সিলেটে ৩৩ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারে ২০ জন, হবিগঞ্জে ১০০ জন। তবে, এখন পর্যন্ত সিলেটে ডেঙ্গুতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা থেকে ফেরত বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে আমরা সতর্ক আছি। এডিসের লার্ভা অনুসন্ধান ও ধ্বংস করতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার কাজ আমরা করছি।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সুবিদবাজার এলাকার সৈয়দ আহমদ হোসেন তানিন। তিনি জানান, ঢাকায় গিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে তিনি একদিন থেকেছিলেন। সিলেট ফিরেই জ্বর অনুভব করেন। দু’দিন পর থেকে জ্বরের তীব্রতা বাড়লে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে বাসার কাছে কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি হন। চারদিন অবস্থান করে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে তিনি সিলেট আসার পরই প্রচণ্ড জ্বর আসে। সেদিন সিলেটে একটি দলীয় কর্মসূচি অংশ নিলেও তিনি বক্তব্য দিতে পারেননি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুর রহমান জানান, সিলেটে তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। এর মধ্যে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকা কিংবা অন্য কোথাও ভ্রমণ করে আসার পরপর ধরা পড়ছে। এই বছর আক্রান্ত হওয়া সিলেটের ব্যক্তিদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জন সিলেট নগরের।

তবে, যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সিলেটে অবস্থান করলে সঙ্গে সঙ্গে বাসাটি শনাক্ত করে আশেপাশে ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংস করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণ কোনো মশা তার শরীরে কামড় দিয়ে আবার অন্য সুস্থ মানুষের শরীরে কামড় দিলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই, আমরা তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি, যাতে না ছড়ায়।’

সিলেট নগরে এডিসের লার্ভা অনুসন্ধানে ৪০ দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ৯ হাজার বাসাবাড়িতে সার্চ করেছি। বিশেষ করে এডিসের লার্ভার হটস্পট নগরের ৭, ৮, ৯, ১০, ১৪, ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। তবুও সবাইকে সর্তক থাকা, মশারি টানিয়ে ঘুমানো, বাসার আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন এই চিকিৎসক।

জনপ্রিয়

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ জন

প্রকাশের সময় : ০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনে এই অঞ্চলে ৬৯ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৬ জন।

সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগেরই ঢাকায় সাম্প্রতিক ভ্রমণ ইতিহাস রয়েছে। অনেকে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং আক্রান্ত হয়েই ফিরছে।

চার জেলায় এই বছর ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কেবল হবিগঞ্জ জেলায় ১০০ জন।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বাসস’কে বলেন, তার উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি লাখাই উপজেলার বাসিন্দা।

তিনি আরো জানান, যারাই ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে, তারা ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর পরীক্ষায় শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। এরপর চিকিৎসা নিয়ে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে, স্ক্রিনিং করে জেলার কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে ইস্যু করা দৈনিক ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে, সিলেটে ২, সুনামগঞ্জ ৩ ও হবিগঞ্জে ১ জন। এই নিয়ে চলতি মাসে সিলেটে ৬৯ জন, আগস্ট মাসে ৪৮ জন এবং জুলাই মাসে ২৯ জন শনাক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ২৬ সেপ্টেম্বর ৫ জন, ২৩ সেপ্টেম্বর ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ১৫ সেপ্টেম্বর ৪ জন, ১৪ সেপ্টেম্বর ৪ জন, ১৩ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ১১ সেপ্টেম্বর ২ জন, ১০ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ৯ সেপ্টেম্বর ২ জন, ৩ সেপ্টেম্বর ৪ জনের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে মোট ১৪ জন সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে একজন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৩ জন, লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মোট আক্রান্তের মধ্যে সিলেটে ৩৩ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারে ২০ জন, হবিগঞ্জে ১০০ জন। তবে, এখন পর্যন্ত সিলেটে ডেঙ্গুতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা থেকে ফেরত বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে আমরা সতর্ক আছি। এডিসের লার্ভা অনুসন্ধান ও ধ্বংস করতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার কাজ আমরা করছি।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সুবিদবাজার এলাকার সৈয়দ আহমদ হোসেন তানিন। তিনি জানান, ঢাকায় গিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে তিনি একদিন থেকেছিলেন। সিলেট ফিরেই জ্বর অনুভব করেন। দু’দিন পর থেকে জ্বরের তীব্রতা বাড়লে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে বাসার কাছে কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি হন। চারদিন অবস্থান করে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে তিনি সিলেট আসার পরই প্রচণ্ড জ্বর আসে। সেদিন সিলেটে একটি দলীয় কর্মসূচি অংশ নিলেও তিনি বক্তব্য দিতে পারেননি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুর রহমান জানান, সিলেটে তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। এর মধ্যে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকা কিংবা অন্য কোথাও ভ্রমণ করে আসার পরপর ধরা পড়ছে। এই বছর আক্রান্ত হওয়া সিলেটের ব্যক্তিদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জন সিলেট নগরের।

তবে, যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সিলেটে অবস্থান করলে সঙ্গে সঙ্গে বাসাটি শনাক্ত করে আশেপাশে ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংস করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণ কোনো মশা তার শরীরে কামড় দিয়ে আবার অন্য সুস্থ মানুষের শরীরে কামড় দিলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই, আমরা তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি, যাতে না ছড়ায়।’

সিলেট নগরে এডিসের লার্ভা অনুসন্ধানে ৪০ দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ৯ হাজার বাসাবাড়িতে সার্চ করেছি। বিশেষ করে এডিসের লার্ভার হটস্পট নগরের ৭, ৮, ৯, ১০, ১৪, ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। তবুও সবাইকে সর্তক থাকা, মশারি টানিয়ে ঘুমানো, বাসার আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন এই চিকিৎসক।