, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

কমলগঞ্জে পরকীয়ার বলি ২ সন্তানের জননী, স্বামীসহ প্রেমিকা আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমোহনপুর চা বাগানে পরকীয়ার জেরে স্বামীর নির্যাতনের বলি হয়ে স্বরসতি রবিদাস (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বিশ্বজিত দাস (৩২) ও তার পরকীয়া প্রেমিকা মুন্নি বুনার্জীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে বিশ্বজিত দাসের সঙ্গে একই উপজেলার দলই চা বাগানের গগন রবিদাসের মেয়ে স্বরসতি রবিদাসের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে (২) ও এক মেয়ে (৬ মাস) রয়েছে। কিছুদিন আগে বিশ্বজিতের সঙ্গে মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিক গোপাল বুনার্জীর স্ত্রী মুন্নি বুনার্জীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মে মাসে বিশ্বজিত বিবাহবহির্ভূতভাবে মুন্নিকে নিজের বাড়িতে তুলে আনে এবং প্রথম স্ত্রী স্বরসতি ও সন্তানদের সঙ্গে একই ঘরে বসবাস করতে থাকে।

নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, মুন্নি বুনার্জীর আগমনের পর থেকেই স্বরসতির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। গত বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে নির্যাতনের পর মুমূর্ষু অবস্থায় স্বরসতিকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে বিশ্বজিত তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে না নিয়ে আবার বাড়িতে ফেরত আনে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্বরসতির মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলা হলে তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, স্বরসতি ও বিশ্বজিতের বিয়ে সামাজিকভাবে হয়েছিল। তবে বিশ্বজিতের চরিত্র নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

কমলগঞ্জে পরকীয়ার বলি ২ সন্তানের জননী, স্বামীসহ প্রেমিকা আটক

প্রকাশের সময় : ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমোহনপুর চা বাগানে পরকীয়ার জেরে স্বামীর নির্যাতনের বলি হয়ে স্বরসতি রবিদাস (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বিশ্বজিত দাস (৩২) ও তার পরকীয়া প্রেমিকা মুন্নি বুনার্জীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে বিশ্বজিত দাসের সঙ্গে একই উপজেলার দলই চা বাগানের গগন রবিদাসের মেয়ে স্বরসতি রবিদাসের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে (২) ও এক মেয়ে (৬ মাস) রয়েছে। কিছুদিন আগে বিশ্বজিতের সঙ্গে মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিক গোপাল বুনার্জীর স্ত্রী মুন্নি বুনার্জীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মে মাসে বিশ্বজিত বিবাহবহির্ভূতভাবে মুন্নিকে নিজের বাড়িতে তুলে আনে এবং প্রথম স্ত্রী স্বরসতি ও সন্তানদের সঙ্গে একই ঘরে বসবাস করতে থাকে।

নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, মুন্নি বুনার্জীর আগমনের পর থেকেই স্বরসতির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। গত বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে নির্যাতনের পর মুমূর্ষু অবস্থায় স্বরসতিকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে বিশ্বজিত তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে না নিয়ে আবার বাড়িতে ফেরত আনে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্বরসতির মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলা হলে তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, স্বরসতি ও বিশ্বজিতের বিয়ে সামাজিকভাবে হয়েছিল। তবে বিশ্বজিতের চরিত্র নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।