সিলেটে জনতা ব্যাংকের পৌনে ৩ কোটি টাকার পেঅর্ডার জালিয়াতির মামলায় পারভেজ রশিদ নামের এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দুদকের কৌশলী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে,জনতা ব্যাংক কুমারগাঁও শাখার নগরের শিবগঞ্জের গ্রাহক মেসার্স রহিম এন্ড রহিম এর মালিক অ্যাডভোকেট পারভেজ রশিদ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকা জমা ছাড়াই বিভিন্ন কোম্পানির নামে অনেক ভূয়া পেঅর্ডার ইস্যু করেন।সব ভূয়া পেঅর্ডার মিলে মোট টাকার পরিমান দাড়ায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকারও বেশি। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটে বিষয়টি ধরা পড়লে পারভেজ রশিদ তাৎক্ষণিকভাবে ৬১ লাখ ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকী টাকা ২০০৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন।এর সাথে ন্যাশনাল ব্যাংকের দুইটি চেকও দেন। চেক দুটো পরবর্তীতে লেকগুলো ডিজঅনার হয়।
পরবর্তীতে জালিয়াতির ঘটনা উদঘটিত হওয়ায় দুদকের তদন্ত টিম দু’দফা তদন্তের পরে প্রতিবেদন দেয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।
পাশাপাশি জনতা ব্যাংকে তার দেয়া দুটো চেক ডিজঅনার হওয়ায় এনআইএক্ট-এ পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়। এঘটনায় ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
অ্যাডভোকেট পারভেজ রশীদ দীর্ঘদিন আদালতের জামিনে ছিলেন। গত রোববার তিনি সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















