, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা বিশ্বনাথে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা গ্রেফতার দিরাইয়ে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩ দিরাইয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে ব্র্যাকের সমন্বয় সভা ইন শা আল্লাহ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবো: তারেক রহমান সিলেটে পাঁচ পীরের মাজারে পাওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত বিজয় দিবসে সিলেট ও হবিগঞ্জে দুর্ঘটনা ও অস্বাভাবিক মৃত্যু: একদিনে ঝরল অন্তত পাঁচ প্রাণ সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার সিলেট বিভাগের সীমান্তজুড়ে বিজিবির অভিযান, সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি টাকার চোরাচালানি জব্দ সিলেটে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান: ১১ জন আটক

সিলেটে জনতা ব্যাংকের পে-অর্ডার জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী কারাগারে

সিলেটে জনতা ব্যাংকের পৌনে ৩ কোটি টাকার পেঅর্ডার জালিয়াতির মামলায় পারভেজ রশিদ নামের এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুদকের কৌশলী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে,জনতা ব্যাংক কুমারগাঁও শাখার নগরের শিবগঞ্জের গ্রাহক মেসার্স রহিম এন্ড রহিম এর মালিক অ্যাডভোকেট পারভেজ রশিদ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকা জমা ছাড়াই বিভিন্ন কোম্পানির নামে অনেক ভূয়া পেঅর্ডার ইস্যু করেন।সব ভূয়া পেঅর্ডার মিলে মোট টাকার পরিমান দাড়ায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকারও বেশি। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটে বিষয়টি ধরা পড়লে পারভেজ রশিদ তাৎক্ষণিকভাবে ৬১ লাখ ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকী টাকা ২০০৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন।এর সাথে ন্যাশনাল ব্যাংকের দুইটি চেকও দেন। চেক দুটো পরবর্তীতে লেকগুলো ডিজঅনার হয়।
পরবর্তীতে জালিয়াতির ঘটনা উদঘটিত হওয়ায় দুদকের তদন্ত টিম দু’দফা তদন্তের পরে প্রতিবেদন দেয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।

পাশাপাশি জনতা ব্যাংকে তার দেয়া দুটো চেক ডিজঅনার হওয়ায় এনআইএক্ট-এ পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়। এঘটনায় ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।

অ্যাডভোকেট পারভেজ রশীদ দীর্ঘদিন আদালতের জামিনে ছিলেন। গত রোববার তিনি সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

জনপ্রিয়

আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা

সিলেটে জনতা ব্যাংকের পে-অর্ডার জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী কারাগারে

প্রকাশের সময় : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটে জনতা ব্যাংকের পৌনে ৩ কোটি টাকার পেঅর্ডার জালিয়াতির মামলায় পারভেজ রশিদ নামের এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুদকের কৌশলী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে,জনতা ব্যাংক কুমারগাঁও শাখার নগরের শিবগঞ্জের গ্রাহক মেসার্স রহিম এন্ড রহিম এর মালিক অ্যাডভোকেট পারভেজ রশিদ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকা জমা ছাড়াই বিভিন্ন কোম্পানির নামে অনেক ভূয়া পেঅর্ডার ইস্যু করেন।সব ভূয়া পেঅর্ডার মিলে মোট টাকার পরিমান দাড়ায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকারও বেশি। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটে বিষয়টি ধরা পড়লে পারভেজ রশিদ তাৎক্ষণিকভাবে ৬১ লাখ ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকী টাকা ২০০৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন।এর সাথে ন্যাশনাল ব্যাংকের দুইটি চেকও দেন। চেক দুটো পরবর্তীতে লেকগুলো ডিজঅনার হয়।
পরবর্তীতে জালিয়াতির ঘটনা উদঘটিত হওয়ায় দুদকের তদন্ত টিম দু’দফা তদন্তের পরে প্রতিবেদন দেয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।

পাশাপাশি জনতা ব্যাংকে তার দেয়া দুটো চেক ডিজঅনার হওয়ায় এনআইএক্ট-এ পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়। এঘটনায় ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।

অ্যাডভোকেট পারভেজ রশীদ দীর্ঘদিন আদালতের জামিনে ছিলেন। গত রোববার তিনি সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।