মহান বিজয় দিবসে সিলেট ও হবিগঞ্জে ঘটে যাওয়া পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় একদিনেই অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পর্যটকবাহী যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত ঘটনার মাধ্যমে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার ও করিচের পুলের মাঝামাঝি এলাকায় দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পর্যটকবাহী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোহাম্মদ জিহাদ (২০) নামে এক যুবক নিহত হন এবং অন্তত ১১ জন আহত হন। নিহত জিহাদ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ এলাকার নুরুল হক নুরার ছেলে। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একইদিন সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার সিকারখাঁ এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও পর্যটকবাহী হাইয়েস গাড়ির সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পর হাইয়েসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি দোকানের বারান্দায় উঠে গেলে সেখানে থাকা আনসার সদস্য মোস্তফা চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত মোস্তফা শেরপুর জেলার নকলা থানার বারৈকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ অন্তত চারজন গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের আতুকুড়া এলাকায় দুপুরে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরীফ মিয়া (৩০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন পশ্চিম পীর মহল্লা এলাকা থেকে তোফায়েল আহমদ (৪৬) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
একইদিন সকালে জিন্দাবাজারের পাঁচ পীরের মাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজয় দিবসের আনন্দের দিনে এসব ঘটনায় সিলেট ও হবিগঞ্জজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

নিজস্ব প্রতিবেদক 


















