, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা বিশ্বনাথে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা গ্রেফতার দিরাইয়ে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩ দিরাইয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে ব্র্যাকের সমন্বয় সভা ইন শা আল্লাহ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবো: তারেক রহমান সিলেটে পাঁচ পীরের মাজারে পাওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত বিজয় দিবসে সিলেট ও হবিগঞ্জে দুর্ঘটনা ও অস্বাভাবিক মৃত্যু: একদিনে ঝরল অন্তত পাঁচ প্রাণ সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার সিলেট বিভাগের সীমান্তজুড়ে বিজিবির অভিযান, সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি টাকার চোরাচালানি জব্দ সিলেটে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান: ১১ জন আটক
নেতাকর্মীদের সমাবেশ রোববার

বিএনপিতে মনোনয়ন বিতর্ক : সুনামগঞ্জ-৫ এ মিজান চৌধুরীকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন প্রাণ চাঞ্চল্য এসেছে, তেমনি প্রিয় নেতা মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ঘিরে ধরেছে।

এ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তো আছেই। বিশেষ করে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নেতা ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী।

মিজান চৌধুরী ২০১৮ সালের পর থেকে ভোটের মাঠ ছাড়েননি। বিএনপির দলীয় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আশা করেছিলেন, এবার তিনি মনোনয়ন পেয়ে রাতের ভোট মোকাবিলা করার পুরস্কার পাবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটলো বিপরীতটা। তার সঙ্গে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় থাকা সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলন সুনামগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

এদিকে মিজানুর রহমান চৌধুরীর কয়েক জন নেতাকর্মী অভিযোগ তুলছেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতার কারসাজির কারণে মিজান চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। যুক্তরাজ্যের ওই বিএনপি নাকি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন।

মিজান চৌধুরী ২০১৮ সালে দলের ‘দুর্দিন’ ভোটের মাঠে দল মনোনীত প্রার্থী হলেও সুদিনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ছাত্রদল বলে তার যে নতুন রাজনৈতিক পরিচিতি ঘটে, তার মূলে ছিল ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বিএনপির দলীয় মনোনয়ন। ভোটের রাজনীতিতে তখন ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা হিসেবে বেশ সমাদৃত হন। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন ডাকসাইটে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিকবারের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছিলেন বিএনপি প্রার্থী মিজান চৌধুরী মাত্র দুই ঘন্টায় প্রায় ৯০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সারাদিন ভোটে থাকলে মিজান চৌধুরী বিজয়ী হয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়তেন। কিন্তু দুঃসময়ের এই নেতাকে বিএনপির দলীয় হাইকমান্ড মনোনয়ন না দিয়ে ভুল করেছে। মিজান চৌধুরীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এদিকে মিজানুর রহমান চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করার জন্য রোববার ছাতকে বিশাল সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়

আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা

নেতাকর্মীদের সমাবেশ রোববার

বিএনপিতে মনোনয়ন বিতর্ক : সুনামগঞ্জ-৫ এ মিজান চৌধুরীকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন প্রাণ চাঞ্চল্য এসেছে, তেমনি প্রিয় নেতা মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ঘিরে ধরেছে।

এ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তো আছেই। বিশেষ করে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নেতা ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী।

মিজান চৌধুরী ২০১৮ সালের পর থেকে ভোটের মাঠ ছাড়েননি। বিএনপির দলীয় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আশা করেছিলেন, এবার তিনি মনোনয়ন পেয়ে রাতের ভোট মোকাবিলা করার পুরস্কার পাবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটলো বিপরীতটা। তার সঙ্গে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় থাকা সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলন সুনামগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

এদিকে মিজানুর রহমান চৌধুরীর কয়েক জন নেতাকর্মী অভিযোগ তুলছেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতার কারসাজির কারণে মিজান চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। যুক্তরাজ্যের ওই বিএনপি নাকি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন।

মিজান চৌধুরী ২০১৮ সালে দলের ‘দুর্দিন’ ভোটের মাঠে দল মনোনীত প্রার্থী হলেও সুদিনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ছাত্রদল বলে তার যে নতুন রাজনৈতিক পরিচিতি ঘটে, তার মূলে ছিল ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বিএনপির দলীয় মনোনয়ন। ভোটের রাজনীতিতে তখন ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা হিসেবে বেশ সমাদৃত হন। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন ডাকসাইটে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিকবারের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছিলেন বিএনপি প্রার্থী মিজান চৌধুরী মাত্র দুই ঘন্টায় প্রায় ৯০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সারাদিন ভোটে থাকলে মিজান চৌধুরী বিজয়ী হয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়তেন। কিন্তু দুঃসময়ের এই নেতাকে বিএনপির দলীয় হাইকমান্ড মনোনয়ন না দিয়ে ভুল করেছে। মিজান চৌধুরীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এদিকে মিজানুর রহমান চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করার জন্য রোববার ছাতকে বিশাল সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।