, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা বিশ্বনাথে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা গ্রেফতার দিরাইয়ে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩ দিরাইয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে ব্র্যাকের সমন্বয় সভা ইন শা আল্লাহ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবো: তারেক রহমান সিলেটে পাঁচ পীরের মাজারে পাওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত বিজয় দিবসে সিলেট ও হবিগঞ্জে দুর্ঘটনা ও অস্বাভাবিক মৃত্যু: একদিনে ঝরল অন্তত পাঁচ প্রাণ সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার সিলেট বিভাগের সীমান্তজুড়ে বিজিবির অভিযান, সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি টাকার চোরাচালানি জব্দ সিলেটে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান: ১১ জন আটক

সিলেটে কুকুরের সন্ধানে মানববন্ধন : সমাধান না করেই ‘মেহমান রেস্টুরেন্ট’ এর যাত্রা শুরু 

সিলেটের জিন্দাবাজারের সিতারা ম্যানশনে সবার প্রিয় কুকুর ‘বজো’। সম্প্রতি ওই কুকুর ও তার পরিবার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা। প্রিয় পাড়া-পোষা কুকুরদের খোঁজ না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন প্রাণীপ্রেমিরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এ ঘটনায় জিন্দাবাজার পয়েন্টসংলগ্ন সিতারা ম্যানশনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন নিখোঁজ কুকুরের পরিচর্যাকারী পিনাক ঘোষ, পরিবেশ প্রেমী রবিন সায়েম, সংবাদকর্মী নয়ন সরকার, আশিষ দেবনাথ, সায়মা বেগম, নীলাঞ্জনা, কবির মিয়া, এনায়েতুল্লাহ, পরিবেশ প্রেমি মদরিস আলী, বৃক্ষপ্রেমিক সাজন মিয়া প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি নতুন রেস্টুরেন্টের লোকজন কুকুরগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে বা হত্যা করেছে।

জানা গেছে, জিন্দাবাজারের সিতারা ম্যানশন এলাকায় বহু বছর ধরে কয়েকটি পাড়া-পোষা কুকুর ছিল। স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা নিয়মিত তাদের খাবার দিতেন, এমনকি কুকুরগুলোর রেবিস ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছিল। ওই কুকুর পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে আদরের ছিল ‘বজো’। তবে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে বজোর চারটি বাচ্চার মধ্যে দুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর একে একে বজো, তার মা এবং বাকি কুকুরগুলোও উধাও হয়ে যায়।

স্থানীয়দের দাবি, সিতারা ম্যানশনের সামনেই নতুন করে গড়ে ওঠা ‘মেহমান রেস্টুরেন্ট’ কর্তৃপক্ষ কুকুরগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রেস্টুরেন্টের গার্ডরা স্থানীয়দের বলেছেন, কুকুরগুলোকে ইনজেকশন দিয়ে দূরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সেগুলোকে এয়ারপোর্ট এলাকার দিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এমনকি তাদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় এক তরুণ বলেন, বজো আমাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে। ওদের প্রতি আমাদের অন্যরকম ভালোবাসা। প্রাণীর প্রতি মায়া হারালে মানুষও মানুষ থাকে না।

জনপ্রিয়

আমি নির্বাচিত হলে সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কল্যাণে কাজ করবো: ইলিয়াসপত্নী লুনা

সিলেটে কুকুরের সন্ধানে মানববন্ধন : সমাধান না করেই ‘মেহমান রেস্টুরেন্ট’ এর যাত্রা শুরু 

প্রকাশের সময় : ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটের জিন্দাবাজারের সিতারা ম্যানশনে সবার প্রিয় কুকুর ‘বজো’। সম্প্রতি ওই কুকুর ও তার পরিবার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা। প্রিয় পাড়া-পোষা কুকুরদের খোঁজ না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন প্রাণীপ্রেমিরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এ ঘটনায় জিন্দাবাজার পয়েন্টসংলগ্ন সিতারা ম্যানশনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন নিখোঁজ কুকুরের পরিচর্যাকারী পিনাক ঘোষ, পরিবেশ প্রেমী রবিন সায়েম, সংবাদকর্মী নয়ন সরকার, আশিষ দেবনাথ, সায়মা বেগম, নীলাঞ্জনা, কবির মিয়া, এনায়েতুল্লাহ, পরিবেশ প্রেমি মদরিস আলী, বৃক্ষপ্রেমিক সাজন মিয়া প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি নতুন রেস্টুরেন্টের লোকজন কুকুরগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে বা হত্যা করেছে।

জানা গেছে, জিন্দাবাজারের সিতারা ম্যানশন এলাকায় বহু বছর ধরে কয়েকটি পাড়া-পোষা কুকুর ছিল। স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা নিয়মিত তাদের খাবার দিতেন, এমনকি কুকুরগুলোর রেবিস ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছিল। ওই কুকুর পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে আদরের ছিল ‘বজো’। তবে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে বজোর চারটি বাচ্চার মধ্যে দুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর একে একে বজো, তার মা এবং বাকি কুকুরগুলোও উধাও হয়ে যায়।

স্থানীয়দের দাবি, সিতারা ম্যানশনের সামনেই নতুন করে গড়ে ওঠা ‘মেহমান রেস্টুরেন্ট’ কর্তৃপক্ষ কুকুরগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রেস্টুরেন্টের গার্ডরা স্থানীয়দের বলেছেন, কুকুরগুলোকে ইনজেকশন দিয়ে দূরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সেগুলোকে এয়ারপোর্ট এলাকার দিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এমনকি তাদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় এক তরুণ বলেন, বজো আমাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে। ওদের প্রতি আমাদের অন্যরকম ভালোবাসা। প্রাণীর প্রতি মায়া হারালে মানুষও মানুষ থাকে না।