বালাইনাশকের মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে সিলেটে ভিজিলেন্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটের
উপ পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ হলরুমে অনুষ্ঠিত
সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুজ্জামান।
তিনি বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদনে বালাইনাশকের সঠিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিটি বালাইনাশক বিক্রয়কেন্দ্রে “জৈব বালাইনাশক কর্নার” স্থাপন করতে হবে এবং কৃষকেরা যাতে নকল বা নিম্নমানের বীজ ও কীটনাশক কিনে প্রতারিত না হন, সে বিষয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, ভেজাল পণ্য প্রতিরোধে কীটনাশক ও বীজ কম্পানির প্রতিনিধি এবং ডিলারদের সমন্বয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে বাজারে শুধুমাত্র মানসম্মত বালাইনাশক প্রাপ্য হয়।
সভায় বালাইনাশকের মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ ব্যবহারের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ দীপক কুমার দাস এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ তামান্না নাহার।
সভায় সিলেট জেলার সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা, সিলেট কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এবং জেলার বিভিন্ন কীটনাশক ও বীজ কোম্পানির প্রতিনিধি ও ডিলাররা অংশ নেন।
উল্লেখ্য,বালাইনাশকের মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ ব্যবহারের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে ভিজিলেন্স কমিটিগুলো সভা আয়োজন করা হয় , যেখানে ভেজাল বালাইনাশক শনাক্তকরণ ও বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এসব সভায় সঠিক ও অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহারের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া এবং মানসম্মত পণ্য নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও এই সভার অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি 



















