ইন্টারনেট সোসাইটির সহযোগিতায় ইন্সটিটিউট অব ডেভলাপমেন্ট এ্যাফেয়ার্স (আইডিয়া)’র উদ্যোগে সিলেট জেলার ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫০জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘ইন্টারনেট ফর এডুকেশন এসআইজি সেইফটি এওয়ারন্যাস ওয়ার্কশপ ফর হাইস্কুল স্টুডেন্টস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার এ.এস.এম আব্দুল ওয়াদুদ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসের এসিসট্যান্ট প্রোগ্রামার তোফায়েল আহমদ চৌধুরী ও দেশ টিভির সিলেট প্রতিনিধি খালেদ আহমদ।
উক্ত কর্মশালায় সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সৈয়দ হাতীম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহজালাল উপশহর হাইস্কুল থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা হলেন, সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিম, শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো: কাজল মিয়া এবং সৈয়দ হাতীম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক মো: মুসা মিয়া।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিলো- সচেতনতা তৈরীর মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধে ইন্টারনেট ব্যবহারের নিরাপত্তা ও সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে সহায়তা করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এস.এম আব্দুল ওয়াদুদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিভাবে তাদের একাডেমিক বিষয় ভিত্তিক সমস্যার সমাধান ও দক্ষতাপূর্ণ কাজ শেখা যায় তার উপর পুরুত্বারোপ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ইন্টারনেটের ইতিবাচক ব্যবহারের উপর উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন ইন্টারনেটের দক্ষ ব্যবহার ও সম্যক জ্ঞান ছাড়া বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ঠিকে থাকা চ্যালেঞ্জিং, তাই তিনি উপস্থিত শিক্ষকদেরকে অনুরোধ করেন তারা যাতে ক্লাসে শিক্ষার্থীদেরকে ইন্টারনেটের সুফল সম্পর্কে যতবেশি সম্ভব ধারণা প্রদান করেন। তোফায়েল আহমদ বলেন শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহা করে একাদিক ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে পারে যা তাদেরকে পরবর্তীতে চাকুরীর বাজারে প্রবেশগম্যতার ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে।
উল্লেখ্য, আইডিয়া এই কর্মশালার পূর্বে উক্ত ৩টি মাধ্যামক বিদ্যালয়ে ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণীর ৫০জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দৈনিক কত ঘন্টা এবং কি কাজে তারা ইন্টরনেট ব্যবহার করে, ইন্টারনেট ব্যবহারে কোন ঝুকি বা নিরাপত্তার অভাব আছে কিনা, শিক্ষার্থীরা অও বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে কিনা করলে কোন বিষয়ের জন্য ব্যবহার করে এবং তারা কি মনে করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার উপকারী? ৫০% শিক্ষার্থী বলেছে তারা দৈনিক ১-২ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ২০% বলেছে তারা দৈনিক ১ ঘন্টার কম ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ২০% বলেছে তারা দৈনিক ৩-৪ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ১০% বলেছে তারা দৈনিক ৪ ঘন্টার বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। ১০০% শিক্ষার্থী বলেছেন তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুকির সন্মুখীন হয়েছেন। ৮০% শিক্ষার্থী বলেছেন তারা অও বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে একাডেমিক পাঠ তৈরীর ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে থাকেন এবং বাকী ২০% বলেছেন তারা যৌক্তিক জাতীয় ও বৈশি^ক তথ্য খোজার ক্ষেত্রে অও বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে থাকেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন আইডিয়ার সহকারী পরিচালক সামী হক, আইডিয়া কোর্ডিনেটর তামান্না আহমদ, আইডিয়া পরিচালক নাজিম আহমদ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি 



















