বাংলাদেশের কৃষির টেকসই উন্নয়নে ২০৫০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া।
রোববার সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে
ট্রান্সফরমিং বাংলাদেশ এগ্রিকালচার : আউটলোক ২০৫০ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি বলেন, সরকার কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০৫০ সাল পর্যন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে কৃষিক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের মতামত সংগ্রহ এবং সব সীমাবদ্ধতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
কৃষি সচিব আরো বলেন, সিলেট অঞ্চলে ভিন্ন মাত্রায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এখানে রয়েছে হাওর, পাহাড়-টিলা ও প্রচুর পরিমাণে পতিত জমি। এসব অনাবাদি পতিত জমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
তিনি কৃষকদের পেস্টিসাইড ও রাসায়নিক সারের পরিমিতি ব্যবহার এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেন। এছাড়াও তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে দেশের কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রান্সফরমিং বাংলাদেশ এগ্রিকালচার : আউটলোক ২০৫০ শীর্ষক এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মো. রেজা-উন-নবী, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ডিএই, সুনামগঞ্জের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো উমর ফারুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিবি অধিশাখার যুগ্মসচিব কামরুল হাসান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান।
সিলেট অঞ্চলের কৃষি পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মোশাররফ হোসেন।
কর্মশালায় আগত বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা ও কৃষকসহ স্টেকহোল্ডারদের গ্রুপভিত্তিক ও উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করা হয়। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা এবং ডিএই-এর সিলেট অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















