আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে এবার প্রতিটি আসনে একজন করে প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়নের ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া শুরু হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই লন্ডন থেকে সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের টেলিফোন করে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোশারফ হোসেন এবং মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেন উভয়েই তারেক রহমানের কাছ থেকে সরাসরি ফোন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাকে সরাসরি তিনি (তারেক রহমান) ফোন দিয়েছেন কাজ করার জন্য। এটাকে এখন আপনি সবুজ সংকেত বলতে পারেন। একটি আসনে তো বেশ কয়েকজন প্রার্থী আছেন, সবাইকে তো তিনি ফোন দেননি।”
মেহেরপুরের নেতা আমজাদ হোসেন জানান, “আমাকে (তারেক রহমান) বলেছেন, গাংনীতে (মেহেরপুর-২) আপনি ধানের শীষকে তৈরি রাখবেন এবং আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে।”দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মূলত তৃণমূলের কোন্দল মেটানোর জন্য। এছাড়া, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১৬ আসনে আমিনুল হক এবং জোটমিত্রদের মধ্যে ঢাকা-১৩ আসনে ববি হাজ্জাজ ও ঢাকা-১৭ আসনে আন্দালিব রহমান পার্থকেও মৌখিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের এত আগে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কারণ ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ভুল বোঝাবুঝি পরিষ্কার করা এবং মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মগুলো জনগণকে জানানোর জন্য সময় প্রয়োজন। তফসিলের অল্প সময়ে এই কাজ সম্ভব নয়, সেজন্যই আমরা একটু আগে থেকে নামতে চাই।
তিনি জানান, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩০০ আসনের একক প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে, তবে জোটবদ্ধ রাজনীতির কৌশলের কারণে শেষ মুহূর্তে প্রায় ৫০টি আসনে পরিবর্তন আসতে পারে।

প্রতিদিনের সিলেট ডেস্ক 

























