, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে বন্ধুর ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল, রেললাইনের পাশ থেকে মতিউরের লাশ উদ্ধার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রাস্তায় মিললো বনপ্রহরীর মরদেহ মৌলভীবাজারে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী ৫৭০ আসামির জামিন চালক-মালিক-বিআরটিএসহ সবাই কাজ করলে সড়ক নিরাপদ হবে : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার সিলেটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে বিলাস হোটেল সিলগালা, আটক ৫  সিলেটে বিজিবির গুলিতে চোরাকারবারি নিহত দূর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই বলেই দেশের মানুষ জামায়াতকে গ্রহন করছে : অধ্যাপক আব্দুল হান্নান সিলেটে জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাসিত মজিদ সংবর্ধিত বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হলেন সিলেটের হুমায়ুন কবির হাতুড়ি শাবলের আঘাতে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সিলেটে আরেকটি ঐতিহ্য ‘মিনিস্টার বাড়ি’

সিলেটে নদী থেকে ২৫ রাউন্ড গুলিসহ রাইফেল উদ্ধার, গোটা এলাকায় তোলপাড়

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সাবরী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পরিত্যক্ত রাইফেল, একটি ম্যাগাজিন ও ২৫ রাউন্ড গুলি। স্থানীয় এক কিশোরের চোখে পড়ায় ঘটনাটি প্রকাশ পায় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ এলাকার সাবরী নদীতে গোসল করতে নামে স্থানীয় কিশোর তাসিম হোসেন (১৬)। সে ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। নদীতে নামার কিছুক্ষণ পরই তার পায়ের সঙ্গে ধাতব বস্তু জাতীয় কিছু লেগে যায়। পরে পানি থেকে সেটি তুলে দেখে, এটি একটি রাইফেল।

ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা দ্রুত জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীর পাড় থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করে। তল্লাশির সময় পুলিশ রাইফেলের সঙ্গে একটি ম্যাগাজিন ও ২৫ রাউন্ড গুলি পায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি বর্তমানে থানায় সংরক্ষিত রয়েছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাইফেলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের নাকি পরবর্তী সময়ের, তা তদন্তের পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে নদী থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, রাইফেলটি সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে পড়ে ছিল। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অবশিষ্ট কোনো অস্ত্র হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হলে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী অস্ত্রটি রাষ্ট্রীয় নিয়মে নিষ্পত্তি করা হবে।

এ ঘটনাটি জৈন্তাপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। কেউ বলছেন এটি ইতিহাসের এক অজানা চিহ্ন, আবার কেউ এটিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান হিসেবে দেখছেন। এমতাবস্থায় তদন্তের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পুরো জৈন্তাপুর এলাকাবাসী।

জনপ্রিয়

সিলেটে বন্ধুর ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল, রেললাইনের পাশ থেকে মতিউরের লাশ উদ্ধার

সিলেটে নদী থেকে ২৫ রাউন্ড গুলিসহ রাইফেল উদ্ধার, গোটা এলাকায় তোলপাড়

প্রকাশের সময় : ২৪ ঘন্টা আগে

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সাবরী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পরিত্যক্ত রাইফেল, একটি ম্যাগাজিন ও ২৫ রাউন্ড গুলি। স্থানীয় এক কিশোরের চোখে পড়ায় ঘটনাটি প্রকাশ পায় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ এলাকার সাবরী নদীতে গোসল করতে নামে স্থানীয় কিশোর তাসিম হোসেন (১৬)। সে ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। নদীতে নামার কিছুক্ষণ পরই তার পায়ের সঙ্গে ধাতব বস্তু জাতীয় কিছু লেগে যায়। পরে পানি থেকে সেটি তুলে দেখে, এটি একটি রাইফেল।

ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা দ্রুত জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীর পাড় থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করে। তল্লাশির সময় পুলিশ রাইফেলের সঙ্গে একটি ম্যাগাজিন ও ২৫ রাউন্ড গুলি পায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি বর্তমানে থানায় সংরক্ষিত রয়েছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাইফেলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের নাকি পরবর্তী সময়ের, তা তদন্তের পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে নদী থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, রাইফেলটি সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে পড়ে ছিল। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অবশিষ্ট কোনো অস্ত্র হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হলে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী অস্ত্রটি রাষ্ট্রীয় নিয়মে নিষ্পত্তি করা হবে।

এ ঘটনাটি জৈন্তাপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। কেউ বলছেন এটি ইতিহাসের এক অজানা চিহ্ন, আবার কেউ এটিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান হিসেবে দেখছেন। এমতাবস্থায় তদন্তের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পুরো জৈন্তাপুর এলাকাবাসী।