, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমেদের বাড়ি ভাঙচুর করল বিএনপির কর্মীরা

বামে টুপি পরিহিত ব্যক্তি কাওছার আহমেদের নানা আব্দুর রউফ চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চৌধুরী ডানে কাওছার আহমদ।

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম তিলা পাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদের বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে উত্তেজিত বিএনপি নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টা দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা পুরো বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কাওছার আহমেদ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ শহরে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বিএনপি নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করেন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে। বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন যে কাওছার আহমেদ ওই আন্দোলনে সিলেট শহরে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি অর্থ ও নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছিলেন এবং আন্দোলনে আহত ও নিহতদের দায়ভার তার ওপর বর্তায় বলে তারা দাবি করেন।

শুকবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। রাত ৯টার দিকে মিছিলটি পশ্চিম তিলা পাড়ার বড় বাড়ির সামনে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা প্রথমে ভাঙচুর চালায়। পরে একটি বুলডোজার এনে পুরো ভবনটি ধ্বংস করে দেয়।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের বাধা উপেক্ষা করে ভাঙচুর চালাতে থাকে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

এদিকে ২০২১ সালে কাওছার আহমদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। তিনি নিয়মিত বিএনপির অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিলেন বলে এক বিএনপি নেতা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলনের পর কাওছার আহমেদের নামে দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা, যেখানে তাকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যটি করেছে পুলিশ—জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে।

কাওছার আহমদ পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। উনার নানা বরমচাল ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি দীর্ঘদিন থেকে। উনার রাজনীতির পথচলা উনার হাত ধরে। তাছাড়া উনার এলাকার আওয়ামীলীগ জনপ্রিয় নেতা সাবেক সিলেট শহরের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে রাজনৈতিক সাথে জড়িত এবং উনার সাহায্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়।

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমেদের বাড়ি ভাঙচুর করল বিএনপির কর্মীরা

প্রকাশের সময় : ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম তিলা পাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার আহমদের বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে উত্তেজিত বিএনপি নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টা দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা পুরো বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কাওছার আহমেদ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ শহরে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বিএনপি নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করেন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে। বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন যে কাওছার আহমেদ ওই আন্দোলনে সিলেট শহরে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি অর্থ ও নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছিলেন এবং আন্দোলনে আহত ও নিহতদের দায়ভার তার ওপর বর্তায় বলে তারা দাবি করেন।

শুকবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। রাত ৯টার দিকে মিছিলটি পশ্চিম তিলা পাড়ার বড় বাড়ির সামনে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা প্রথমে ভাঙচুর চালায়। পরে একটি বুলডোজার এনে পুরো ভবনটি ধ্বংস করে দেয়।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের বাধা উপেক্ষা করে ভাঙচুর চালাতে থাকে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

এদিকে ২০২১ সালে কাওছার আহমদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। তিনি নিয়মিত বিএনপির অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিলেন বলে এক বিএনপি নেতা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলনের পর কাওছার আহমেদের নামে দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা, যেখানে তাকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যটি করেছে পুলিশ—জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে।

কাওছার আহমদ পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। উনার নানা বরমচাল ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি দীর্ঘদিন থেকে। উনার রাজনীতির পথচলা উনার হাত ধরে। তাছাড়া উনার এলাকার আওয়ামীলীগ জনপ্রিয় নেতা সাবেক সিলেট শহরের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে রাজনৈতিক সাথে জড়িত এবং উনার সাহায্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়।