, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার সিলেট বিভাগের সীমান্তজুড়ে বিজিবির অভিযান, সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি টাকার চোরাচালানি জব্দ সিলেটে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান: ১১ জন আটক সিলেটে দুই সড়ক দুর্ঘটনায় আনসার সদস্যসহ নিহত ২, আহত ২২ সিলেটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অতিথি হোটেল সিলগালা, নারীসহ আটক ৬ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেদন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরে সিলেটে এক ব্যক্তির মৃত্যু সিলেটে বিএনপি-ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি ও হামলা, ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সিলেটে প্রতিবাদী অবস্থান

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন গোয়াইনঘাটের ইউএনও

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ইউএনও রতন কুমার অধিকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছেন।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।
এ সময় তিনি অন্যান্য শ্রেণিকক্ষও ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ইউএনও স্যার ক্লাসে এসে নানা প্রশ্ন করেছেন, মজার মজার গল্প বলেছেন এবং পড়া মনে রাখার সহজ কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন। শুধু পাঠদানই নয়-খাওয়া, ঘুম, পড়াশোনা, খেলাধুলা ও ইবাদতের বিষয়ে অভিভাবকের মতো পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, তিনি রবিবার (২৮  দুপুরে হঠাৎ করে আমাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হয়ে গেলেন শিক্ষক।

যেখানে প্রশাসনিক কাজ, দাপ্তরিক সভা কিংবা উন্নয়ন প্রকল্প এসবই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিদিনের চিত্র। সেই চিরাচরিত প্রথাকে ভেঙে ভিন্ন রূপে হাজির হন তিনি এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেন। “ইউএনও স্যার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুদের পাঠদান করেছেন। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আমরা শিক্ষকরা তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা বিষয়ে নতুন অনেক দিকনির্দেশনা পেয়েছি।” খুব ভালো লাগলো।
আলাপকালে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, বাচ্চাদের পড়াতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। শিক্ষাজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। এতে শিক্ষার্থীদের শেখানোও হয়, আবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করাও যায়।

তিনি আরও বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকারি কর্মকর্তা ও দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা খাতে অবদান রাখতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়।

এ সময় সীমান্ত এলাকায় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় স্থানীয় যুব সমাজের প্রশংসা করেন এবং বিদ্যালয়টি পরিচালনায় ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

জনপ্রিয়

সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন গোয়াইনঘাটের ইউএনও

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ইউএনও রতন কুমার অধিকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছেন।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।
এ সময় তিনি অন্যান্য শ্রেণিকক্ষও ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ইউএনও স্যার ক্লাসে এসে নানা প্রশ্ন করেছেন, মজার মজার গল্প বলেছেন এবং পড়া মনে রাখার সহজ কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন। শুধু পাঠদানই নয়-খাওয়া, ঘুম, পড়াশোনা, খেলাধুলা ও ইবাদতের বিষয়ে অভিভাবকের মতো পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, তিনি রবিবার (২৮  দুপুরে হঠাৎ করে আমাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হয়ে গেলেন শিক্ষক।

যেখানে প্রশাসনিক কাজ, দাপ্তরিক সভা কিংবা উন্নয়ন প্রকল্প এসবই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিদিনের চিত্র। সেই চিরাচরিত প্রথাকে ভেঙে ভিন্ন রূপে হাজির হন তিনি এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেন। “ইউএনও স্যার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুদের পাঠদান করেছেন। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আমরা শিক্ষকরা তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা বিষয়ে নতুন অনেক দিকনির্দেশনা পেয়েছি।” খুব ভালো লাগলো।
আলাপকালে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, বাচ্চাদের পড়াতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। শিক্ষাজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। এতে শিক্ষার্থীদের শেখানোও হয়, আবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করাও যায়।

তিনি আরও বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকারি কর্মকর্তা ও দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা খাতে অবদান রাখতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়।

এ সময় সীমান্ত এলাকায় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় স্থানীয় যুব সমাজের প্রশংসা করেন এবং বিদ্যালয়টি পরিচালনায় ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।