সিলেটের বিশ্বনাথে লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার উপর হামলার ঘটনায় মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। ১৮ সেপ্টেম্বর ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান মামলা করেন। যার নং ৯।
মামলার আসামীরা হলেন, শাহজিরগাঁও গ্রামের মখলিছ আলীর পুত্র রায়হান আহমদ, জানাইয়া গ্রামের আব্দুল খারিকের পুত্র সুজেল মিয়া, রামধানা গ্রামের মৃত: আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুর রহমান, শিমুলতলা গ্রামের আরজুমন্দ আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান, রামধানা গ্রামের ছামছু মিয়া লালার পুত্র সোহাগ মিয়া, জানাইয়া গ্রামের তুতু মিয়ার পুত্র রুপা মিয়া, রাজনগর গ্রামের আলকাছ আলীর পুত্র আমজাদ আলী, টুকেরকান্দি গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র কামরান আহমদ, টেংরা গ্রামের মৃত: তেরা মিয়ার পুত্র মঈনুল ইসলাম, বড় খুরমা (উত্তর) গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র আজাদ মিয়া, রাজনগর গ্রামের আরশ আলীর পুত্র শামীম আহমদ, একই গ্রামের ফিরোজ আলীর পুত্র সেবুল মিয়া, বড় খুরমা গ্রামের মৃত: রাশীদ আলীর পুত্র আব্দুল মছব্বির, রাজনগর গ্রামের মনাফ মিয়ার পুত্র সাকিল আহমদ।
এছাড়া ওই মামলার অজ্ঞাতনামা হিসেবে ১২/১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের টানা ৪ বারের চেয়ারম্যা, বিশ্বনাথ উপজেলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাবেক সহসভাপতি কবির হোসেন ধলা মিয়া। গত ২৮ এপ্রিল বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন কবির হোসেন ধলা মিয়া।
সভায় অন্যান্য বিষয়ের সাথে মাদক ও চোরাচালানোর বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। সভা শেষে বেলা ২টায় অটোরিসকা (সিএনজি) যোগে পরিষদের সামনে মূল গেইট থেকে প্রায় ৩০০ ফুটের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে আসা মাত্রাই পূর্ব হতে উৎ পেতে থাকা আসামীগণ মাদক ও চোরাচালান ব্যবসায়ী বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গতিরোধ করে চেয়ারম্যানেকে জোরপূর্বক সিএনজি থেকে নামিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে বেদড়ক মারপিট করে আহত করে।
এসময় আসামীরা উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারন করে আসামী বিভিন্ন অনলাইনে ফেইক আইডি দিয়া প্রচার করে।
আসামী রায়হান আহমদ (৩০) চেয়ারম্যানের হাতে থাকা হাওয়াই ৯এস মডেলের মোবাইল ফোন যাহার সিম নং ০১৭৭৯ ৫৫৭২৬৬ ছিনিয়ে নিয়ে যায়, সুজেল মিয়া আমার প্যান্টের পকেটে থাকা এক হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড যাহা বাংলাদেশী এক লক্ষ ষাঁট হাজার টাকা এবং আব্দুর রহমান নগদ প্রায় পঞ্চান্ন হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন চেয়ারম্যানের শোর চিৎকারে সাক্ষীসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পরবর্তীতে চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।