, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা বিয়ানীবাজারে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তানে মামুনুল হকসহ সাত আলেম সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের এমডি আব্দুল্লাহ শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট এইড সাস্ট এর ‘ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প’ উদ্বোধন বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া উপর হামলার ঘটনায় মামলা লালাবাজারে পুলিশের অভিযানে বিদেশী মদসহ স্বামী-স্ত্রী আটক জগন্নাথপুরে সিংহ ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাটি গুজব সিলেটে সুপারির দামে অস্থিরতা : কেজিপ্রতিতে দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিলেট অংশের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে : জেলা প্রশাসক 

দীর্ঘসূত্রিতার কারণে থমকে থাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সড়কের বিভিন্ন জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা মেরামত করা যাচ্ছে না। আমরা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ। এতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। বর্তমানে সিলেট থেকে ঢাকা যেতে অনেক সময় ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। তবে সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিলেট সফরে এসে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিলেট অংশের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইনসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় গত চার বছরে কাজের অগ্রগতি হয়নি ১০ শতাংশও। অথচ ২০২১ সালে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর-৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শুরুর সময় নির্ধারিত ছিল ২০২৬ সালে কাজ শেষ করার লক্ষ্য। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ধার্য এ প্রকল্পে সাতটি জেলার মোট ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলেও এখনো ৮৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে।

২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জনপ্রিয়

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিলেট অংশের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে : জেলা প্রশাসক 

প্রকাশের সময় : ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘসূত্রিতার কারণে থমকে থাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সড়কের বিভিন্ন জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা মেরামত করা যাচ্ছে না। আমরা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ। এতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। বর্তমানে সিলেট থেকে ঢাকা যেতে অনেক সময় ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। তবে সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিলেট সফরে এসে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিলেট অংশের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইনসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় গত চার বছরে কাজের অগ্রগতি হয়নি ১০ শতাংশও। অথচ ২০২১ সালে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর-৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শুরুর সময় নির্ধারিত ছিল ২০২৬ সালে কাজ শেষ করার লক্ষ্য। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ধার্য এ প্রকল্পে সাতটি জেলার মোট ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলেও এখনো ৮৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে।

২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।