, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার সিলেট বিভাগের সীমান্তজুড়ে বিজিবির অভিযান, সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি টাকার চোরাচালানি জব্দ সিলেটে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান: ১১ জন আটক সিলেটে দুই সড়ক দুর্ঘটনায় আনসার সদস্যসহ নিহত ২, আহত ২২ সিলেটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অতিথি হোটেল সিলগালা, নারীসহ আটক ৬ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেদন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরে সিলেটে এক ব্যক্তির মৃত্যু সিলেটে বিএনপি-ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি ও হামলা, ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সিলেটে প্রতিবাদী অবস্থান

সিলেট সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পন্য জব্দ

সিলেট জেলার ৭ টি সীমান্ত পথ দিয়ে দুই দিনে চোরাচালানবিরোধী পৃথক অভিযানে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পন্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল দল।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিজিবির ৪৮ ও ১৯ ব্যাটালিয়ন পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা ও জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করে তামাবিল, পান্থুমাই, সংগ্রাম বাংলাবাজার ও মিনাটিলা বিওপি’র টহল দল কর্তৃক বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ক্রিম, ক্লপ জি ক্রিম, হোয়াইটটোন ক্রিম, স্কিন ব্রাইট ক্রিম, মাই ফেয়ার ক্রিম, স্কিন সাইন ক্রিম, মোস্তাক ফেসওয়াস, নাসির উদ্দিন বিড়ি, কিটক্যাট, জিরা, বিস্কুট, ফুচকা, চিনি, ট্রাক ও বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ, অবৈধ বালু পরিবহনে ব্যবহৃত বালু ভর্তি ডাম্পার জব্দ করে। জব্দকরা মালামালের মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬৫ টাকা।

এ প্রসঙ্গে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট। আর আমাদের অভিযানগুলো এই দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে আমাদের কঠোর পদক্ষেপগুলো শুধু অপরাধীদেরই রুখে দিচ্ছে না, বরং জনগণের মাঝেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি অভিযানই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।

এদিকে, ১৯ বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন পৃথক আরেক অভিযানে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ সেপ্টেম্বর জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) দায়িত্বাধীন সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার গুয়াবাড়ি বিওপির একটি অভিযানিক টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুয়াবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় সাতটি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। জব্দ তালিকায় মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।

একই দিন জৈন্তাপুর বিওপির টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুলবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ছয়টি গরু (বাছুর) ও একটি মাঝারি গরু আটক করে। জব্দ তালিকায় মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর আগেহ ১১ সেপ্টেম্বর কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া বিওপির টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাপার মুখ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৪ হাজার টাকার ভারতীয় পানের চালান (১৬০ বিরা) জব্দ করে।

এবিষয়ে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ জুবায়ের আনোয়ার, পিএসসি জানান- সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের স্বার্থে বিজিবি কখনোই আপোষ করবে না। জনগণের সহযোগিতা নিয়েই সীমান্তকে নিরাপদ রাখা হবে।

জনপ্রিয়

সিলেটে বিজয় দিবসের দিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ জন গ্রেপ্তার

সিলেট সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পন্য জব্দ

প্রকাশের সময় : ০৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেট জেলার ৭ টি সীমান্ত পথ দিয়ে দুই দিনে চোরাচালানবিরোধী পৃথক অভিযানে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পন্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল দল।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিজিবির ৪৮ ও ১৯ ব্যাটালিয়ন পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা ও জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করে তামাবিল, পান্থুমাই, সংগ্রাম বাংলাবাজার ও মিনাটিলা বিওপি’র টহল দল কর্তৃক বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ক্রিম, ক্লপ জি ক্রিম, হোয়াইটটোন ক্রিম, স্কিন ব্রাইট ক্রিম, মাই ফেয়ার ক্রিম, স্কিন সাইন ক্রিম, মোস্তাক ফেসওয়াস, নাসির উদ্দিন বিড়ি, কিটক্যাট, জিরা, বিস্কুট, ফুচকা, চিনি, ট্রাক ও বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ, অবৈধ বালু পরিবহনে ব্যবহৃত বালু ভর্তি ডাম্পার জব্দ করে। জব্দকরা মালামালের মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬৫ টাকা।

এ প্রসঙ্গে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট। আর আমাদের অভিযানগুলো এই দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে আমাদের কঠোর পদক্ষেপগুলো শুধু অপরাধীদেরই রুখে দিচ্ছে না, বরং জনগণের মাঝেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি অভিযানই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।

এদিকে, ১৯ বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন পৃথক আরেক অভিযানে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ সেপ্টেম্বর জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) দায়িত্বাধীন সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার গুয়াবাড়ি বিওপির একটি অভিযানিক টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুয়াবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় সাতটি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। জব্দ তালিকায় মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।

একই দিন জৈন্তাপুর বিওপির টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুলবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ছয়টি গরু (বাছুর) ও একটি মাঝারি গরু আটক করে। জব্দ তালিকায় মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর আগেহ ১১ সেপ্টেম্বর কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া বিওপির টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাপার মুখ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৪ হাজার টাকার ভারতীয় পানের চালান (১৬০ বিরা) জব্দ করে।

এবিষয়ে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ জুবায়ের আনোয়ার, পিএসসি জানান- সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের স্বার্থে বিজিবি কখনোই আপোষ করবে না। জনগণের সহযোগিতা নিয়েই সীমান্তকে নিরাপদ রাখা হবে।