, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হচ্ছে ১৪০০ শহীদের বিচার করতে হবে : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “নির্বাচনটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, সংস্কারটা মানেই হলো নির্বাচন, বিচারটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, আবার বিচার হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হচ্ছে ১৪০০ শহীদের বিচার করতে হবে। তাহলে এর প্রত্যেকটা হচ্ছে ইন্টার-টু-ইন্টারনো কানেক্টেড।”

বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে ঈদ উপলক্ষে এবি পার্টির উদ্যোগে সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এ সভা হয়।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “সংস্কার, বিচার, নির্বাচন—এর কোনটাকে আমি একটার সাথে আরেকটা সাংঘর্ষিক মনে করি না। এর পুরোটা মিলেই হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পুরোটা মিলেই হচ্ছে আমার ৭১-এর মুক্তির লড়াই। এর পুরোটা মিলেই হচ্ছে আমার ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু এই প্রত্যেকটা কাজ করতে হবে ঐক্যমতের উপর ভিত্তি করে। একটা সত্য জিনিস, একটা হক জিনিসও চাপিয়ে দিলে জাতি মেনে নেয় না।”

তিনি বলেন, “কারেক্টলি এজন্যই হচ্ছে প্রফেসর ইউনূস আমাদের পরামর্শের উপর ভিত্তি করে একটা কনসেন্সেস কমিশন করেছেন, ঐক্যমতের কমিশন করেছেন, যারা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসছে, কথা বলছে, পরামর্শ নিচ্ছে এবং একটা ঐক্যমতের উপর ভিত্তি করে সংস্কার আমরাও দাবি করছি। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনের একটা সম্মিলিত রোডম্যাপ আপনি ঘোষণা করেন, যেই রোডম্যাপটা নিয়ে আমরা সবাই মিলে কিভাবে সাহায্য করা যায়, একসাথে কাজ করা যায় এবং দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।”

তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন যে ঐক্যমতের কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, স্প্রেডশিট দেওয়া হয়েছে—১৬৬টা প্রশ্ন দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন সংস্কারের ব্যাপারে এবং সেটার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে। ইতিমধ্যে পার্টির পক্ষ থেকে আমরা এটা জমা দিয়েছি। আমাদের সাথে ঐক্যমত কমিশনের ইতিমধ্যে মিটিং হয়েছে, ৭ তারিখে একটা ফরমাল মিটিং আছে এই প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে আমাদের দলের সাথে।”

তিনি বলেন, “সেখানে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো যে, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে একটা সম্মিলিত রোডম্যাপ চাই—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনের ব্যাপারটাতে যেটা ঐক্যমতের ভিত্তিতে যেন একমত হওয়া যায়। তাই আমার পজিশনটা হচ্ছে এটাকে একটার সাথে আমি আরেকটা আলাদা করে দেখি না। নির্বাচনটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, সংস্কারটা মানেই হলো নির্বাচন, বিচারটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, আবার বিচার হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হচ্ছে ১৪০০ শহীদের বিচার করতে হবে। তাহলে এর প্রত্যেকটা হচ্ছে ইন্টার-টু-ইন্টারনো কানেক্টেড।”

তিনি বলেন, “তো এই প্রত্যেকটা জিনিসের কোনটাকে ছোট করা, হেয় করা, অমুক বলছে বলে দাম বেশি, অমুক বলেছে বলে তাকে হেয় করতে হবে—আমরা এভাবে বিষয়টাকে দেখি না। আমরা দেখি এর প্রত্যেকটাই বাংলাদেশকে ধারণ করে। এই প্রত্যেকটা দাবির ভিতরে আমি লাল-সবুজের পতাকাকে দেখি এবং যা কিছুর ভিতরে আমি লাল-সবুজের পতাকাকে দেখি, ওটাই আমার। আমি ওটাকে ওন করি। এর পুরোটাই বাংলাদেশ এবং সেভাবেই আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।”

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হচ্ছে ১৪০০ শহীদের বিচার করতে হবে : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

প্রকাশের সময় : ০৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “নির্বাচনটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, সংস্কারটা মানেই হলো নির্বাচন, বিচারটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, আবার বিচার হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হচ্ছে ১৪০০ শহীদের বিচার করতে হবে। তাহলে এর প্রত্যেকটা হচ্ছে ইন্টার-টু-ইন্টারনো কানেক্টেড।”

বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে ঈদ উপলক্ষে এবি পার্টির উদ্যোগে সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এ সভা হয়।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “সংস্কার, বিচার, নির্বাচন—এর কোনটাকে আমি একটার সাথে আরেকটা সাংঘর্ষিক মনে করি না। এর পুরোটা মিলেই হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পুরোটা মিলেই হচ্ছে আমার ৭১-এর মুক্তির লড়াই। এর পুরোটা মিলেই হচ্ছে আমার ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু এই প্রত্যেকটা কাজ করতে হবে ঐক্যমতের উপর ভিত্তি করে। একটা সত্য জিনিস, একটা হক জিনিসও চাপিয়ে দিলে জাতি মেনে নেয় না।”

তিনি বলেন, “কারেক্টলি এজন্যই হচ্ছে প্রফেসর ইউনূস আমাদের পরামর্শের উপর ভিত্তি করে একটা কনসেন্সেস কমিশন করেছেন, ঐক্যমতের কমিশন করেছেন, যারা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসছে, কথা বলছে, পরামর্শ নিচ্ছে এবং একটা ঐক্যমতের উপর ভিত্তি করে সংস্কার আমরাও দাবি করছি। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনের একটা সম্মিলিত রোডম্যাপ আপনি ঘোষণা করেন, যেই রোডম্যাপটা নিয়ে আমরা সবাই মিলে কিভাবে সাহায্য করা যায়, একসাথে কাজ করা যায় এবং দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।”

তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন যে ঐক্যমতের কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, স্প্রেডশিট দেওয়া হয়েছে—১৬৬টা প্রশ্ন দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন সংস্কারের ব্যাপারে এবং সেটার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে। ইতিমধ্যে পার্টির পক্ষ থেকে আমরা এটা জমা দিয়েছি। আমাদের সাথে ঐক্যমত কমিশনের ইতিমধ্যে মিটিং হয়েছে, ৭ তারিখে একটা ফরমাল মিটিং আছে এই প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে আমাদের দলের সাথে।”

তিনি বলেন, “সেখানে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো যে, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে একটা সম্মিলিত রোডম্যাপ চাই—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনের ব্যাপারটাতে যেটা ঐক্যমতের ভিত্তিতে যেন একমত হওয়া যায়। তাই আমার পজিশনটা হচ্ছে এটাকে একটার সাথে আমি আরেকটা আলাদা করে দেখি না। নির্বাচনটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, সংস্কারটা মানেই হলো নির্বাচন, বিচারটা ইটসেলফ একটা সংস্কার, আবার বিচার হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত হচ্ছে ১৪০০ শহীদের বিচার করতে হবে। তাহলে এর প্রত্যেকটা হচ্ছে ইন্টার-টু-ইন্টারনো কানেক্টেড।”

তিনি বলেন, “তো এই প্রত্যেকটা জিনিসের কোনটাকে ছোট করা, হেয় করা, অমুক বলছে বলে দাম বেশি, অমুক বলেছে বলে তাকে হেয় করতে হবে—আমরা এভাবে বিষয়টাকে দেখি না। আমরা দেখি এর প্রত্যেকটাই বাংলাদেশকে ধারণ করে। এই প্রত্যেকটা দাবির ভিতরে আমি লাল-সবুজের পতাকাকে দেখি এবং যা কিছুর ভিতরে আমি লাল-সবুজের পতাকাকে দেখি, ওটাই আমার। আমি ওটাকে ওন করি। এর পুরোটাই বাংলাদেশ এবং সেভাবেই আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।”