কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন উইং) ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান বলেছেন,কৃষি যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে দেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার দক্ষতা বাড়িয়েছে, শ্রমের তীব্রতা কমিয়েছে এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস করেছে। এর ফলে ফসলের নিবিড়তা ৫-২২ শতাংশ বেড়েছে এবং ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতিও কমেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে। যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে শ্রমিকের উপর নির্ভরতা কমেছে, বিশেষ করে শ্রমিক স্বল্পতার সময়ে ফসল কাটার মতো জরুরি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে। একই জমিতে বেশি ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে।
দেশেরউন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য কৃষি একটি বিরাট সম্ভাবনা। তাই কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার সব সময় আন্তরিক। সরকার গৃহীত বিভিন্ন কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলাসহ নিত্য নতুন ফসল বিদেশে রপ্তানী করতে কৃষির উন্নয়ন অনস্বীকার্য। তিনি প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষির উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট আয়োজিত ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিস্ট্যান্টস প্রকল্প (ফ্রিপ) এর আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক
কৃষিবিদ ড.মোঃ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায়
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফ্রিপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড.তৌফিকুর রহমান।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত দেব নাথের উপস্থাপনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রকিব উদ্দিন আহমদ, ফ্রিপ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক ড.হুমায়ুন কবির, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার শামসুদ্দিন আহমদ,কৃষি বিপনন অধিদপ্তর সিলেট এর উপ পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান, মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক জালাল উদ্দিন,সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক ওমর ফারুক।
রেপোটিয়ার ছিলেন,ফ্রিপ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক ড.হুমায়ুন কবির, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট এর উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুজ্জামান।
দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ১০৬জন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তিন বছর মেয়াদী ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ের ফ্রিপ প্রকল্পটি আগামী ২৬ সালের মার্চে শেষ হবে। প্রকল্পটি হাওর জেলা ৭টি সহ সিলেটের চার জেলায় চলমান রয়েছে। কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিআরডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। এ প্রকল্পে সোলার সিষ্টেমের মাধ্যমে সেচ সুবিধা, পতিত জমিতে উৎপাদন, আধুনিক চাষাবাদ, কৃষি যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি 


















