সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় তার ছেলে আসাদ আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি চলছে। এই মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শনিবার সিলেটটুডেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে নিজ বাসা থেকে আব্দুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আব্দুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের প্রয়াত মৌলুল হোসেনের ছেলে।
এডিসি সাইফুল জানান, শুক্রবারই সন্দেহবশত নিহতের ছেলে আসাদকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুর রাহ্হাজকে হত্যা করা হতে পারে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখ পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি। ফলে পলিশ বাদী হয়েই একটি মামলা করবে। যাতে নিহতের ছেলেকে আসামি করা হবে।
এরআগে শুক্রবার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিলো, ফজরের নামাজ পড়ে বাসার ছাদে হাঁটতে যান আবদুর রাজ্জাক। সকাল ৯টার দিকে তাকে বাসায় না পেয়ে ছাদে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়।
তবে স্বজনরা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা বের হতে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রধান ফটক ছিলো তালাবদ্ধ। পাশাপাশি পারিবারিক ভাবেও ছিলো না কোনো সমস্যা। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তার মানসিক অবস্থা খারাপ হয়। এনিয়ে তিনি ভারতেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন। গত কয়েক মাসে তার মানসিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছিলো।
কিন্তু এই বক্তব্য মানতে নারাজ পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের ধারণা, আব্দুর রাজ্জাককে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করলে নাড়িভুঁড়ি বের হবে কেন। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্নও রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ পারিবারিক বিরোধসহ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের বিষয় সামনে রেখে তদন্ত শুরু করে।
শুক্র্রবার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির বুক, পেটসহ বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী শুক্রবার রাতে বলেন, আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক 
















