মৌলভীবাজারে প্রিয়া বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়েছেন তার স্বামী ইব্রাহিম মিয়া ও শাশুড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে নিহত ওই গৃহবধূ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘দুনিয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হলো বিয়ে। ভাগ্যে সঠিক জীবনসঙ্গী পেলে সব ঠিক, আর না হলে কবর পর্যন্ত সবকিছু মানিয়ে নিতে হয়।’
নিহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বর্ষিজোড়া গ্রামের মো. শাহীন মিয়ার মেয়ে প্রিয়া বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার ১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের বরইউরি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাদের দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী ইব্রাহিম মিয়া, তার মা ও স্বজনরা প্রিয়া বেগমের মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
Google News গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ”র খবর পড়তে ফলো করুন
নিহতের বড় ভাই মামুন আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়ির সঙ্গে নানা বিষয়ে আমার বোনের ঝামেলা চলছিল। রবিবার রাতে স্বামী ইব্রাহিম মিয়া ও শাশুড়ি মিলে আমার বোনকে হত্যা করে বোনের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে। যাওয়ার আগে আমাদের ফোনে জানিয়েছে, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। অনেক আগে থেকেই স্বামীর বাড়ির লোকজন আমার বোনটিকে নির্যাতন করত। আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিয়া বেগমের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।’
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রিয়া বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।’

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি 
















