, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমানীনগরে দোকান থেকে জুয়েলার্স শ্রমিকের লাশ উদ্ধার মৌলভীবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জন আটক জ্ঞান অর্জন করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে : লালাবাজারে জেলা প্রশাসক আগামীকাল বুধবার সিলেটে আসছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান  মৌলভীবাজারে হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী ও শাশুড়ি বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টানা ৯ ঘণ্টা থাকবে না বিদ্যুৎ সিলেট-৪ আসনের প্রস্তাবে ‘না’, বিএনপির স্থায়ী কমিটির তলবে ঢাকায় আরিফ সিলেট-৫: জোট নাকি দলীয় প্রার্থী—দ্বিধায় বিএনপি এই তালিকাই চূড়ান্ত নয়, যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে : মির্জা ফখরুল অক্টোবর মাসে সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৮ জন

সিলেট-৫: জোট নাকি দলীয় প্রার্থী—দ্বিধায় বিএনপি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিলেটের আলোচিত আসন হয়ে উঠেছে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট)। দীর্ঘ ২৯ বছর পর এই আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা চলছে স্থানীয় রাজনীতিতে।

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে ১৯৯৬ সালের পর থেকে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ নিতে পারেননি। দলীয় সিদ্ধান্ত ও জোটের সমীকরণের কারণে প্রায় তিন দশক ধরে এ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে এবার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সরব। তাদের দাবি, এই আসনে বিএনপিরই প্রার্থী চাই।

Kiswan

এদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন। ফলে এবারের নির্বাচনে বিএনপি যদি আবারও জোটে যায়, তাহলে আসনটি জমিয়তের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Google News গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ”র খবর পড়তে ফলো করুন

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত তালিকায় সিলেট জেলার ১, ২, ৩ এবং ৬ আসনের প্রার্থীর নাম থাকলেও, সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তে সিলেটের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, দলীয় পর্যায়ে এখনও আলোচনা চলছে। তবে স্থানীয় নেতারা বলছেন, এবার জোট নয়, এই আসনে বিএনপিরই প্রার্থী দেওয়া হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির প্রথম সহ-সভাপতি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন) একাধিক বক্তব্যে বলেছিলেন, আমি উচ্চ পর্যায় থেকে বার্তা পেয়েছি, এই আসনে এবার জোট হবে না, বিএনপিই প্রার্থী দেবে। আমরা আশাবাদী, জনগণের ভালোবাসা ও দলের আস্থা নিয়ে মাঠে থাকতে চাই।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন), আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব), সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সামিরা তানজিন চৌধুরী ও জাকির হোসেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এই আসনে বিএনপি খুবই শক্তিশালী। দলীয় প্রার্থী দিলে জয় পাওয়া সম্ভব। জোটের প্রার্থীরা অতীতে টিকতে পারেননি, এবার ভিন্ন ফলাফল আসতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বিএনপি কি এবারও জোটের রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দেবে নাকি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেবে।

১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে আবদুল কাহির চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলটির প্রার্থী ছিলেন আবুল হারিছ চৌধুরী। এর পর থেকে প্রায় ২৯ বছর বিএনপি আর সরাসরি এই আসনে প্রার্থী দেয়নি।

জনপ্রিয়

ওসমানীনগরে দোকান থেকে জুয়েলার্স শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

সিলেট-৫: জোট নাকি দলীয় প্রার্থী—দ্বিধায় বিএনপি

প্রকাশের সময় : ২৩ ঘন্টা আগে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিলেটের আলোচিত আসন হয়ে উঠেছে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট)। দীর্ঘ ২৯ বছর পর এই আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা চলছে স্থানীয় রাজনীতিতে।

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে ১৯৯৬ সালের পর থেকে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ নিতে পারেননি। দলীয় সিদ্ধান্ত ও জোটের সমীকরণের কারণে প্রায় তিন দশক ধরে এ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে এবার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সরব। তাদের দাবি, এই আসনে বিএনপিরই প্রার্থী চাই।

Kiswan

এদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন। ফলে এবারের নির্বাচনে বিএনপি যদি আবারও জোটে যায়, তাহলে আসনটি জমিয়তের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Google News গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ”র খবর পড়তে ফলো করুন

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত তালিকায় সিলেট জেলার ১, ২, ৩ এবং ৬ আসনের প্রার্থীর নাম থাকলেও, সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তে সিলেটের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, দলীয় পর্যায়ে এখনও আলোচনা চলছে। তবে স্থানীয় নেতারা বলছেন, এবার জোট নয়, এই আসনে বিএনপিরই প্রার্থী দেওয়া হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির প্রথম সহ-সভাপতি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন) একাধিক বক্তব্যে বলেছিলেন, আমি উচ্চ পর্যায় থেকে বার্তা পেয়েছি, এই আসনে এবার জোট হবে না, বিএনপিই প্রার্থী দেবে। আমরা আশাবাদী, জনগণের ভালোবাসা ও দলের আস্থা নিয়ে মাঠে থাকতে চাই।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন), আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব), সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সামিরা তানজিন চৌধুরী ও জাকির হোসেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এই আসনে বিএনপি খুবই শক্তিশালী। দলীয় প্রার্থী দিলে জয় পাওয়া সম্ভব। জোটের প্রার্থীরা অতীতে টিকতে পারেননি, এবার ভিন্ন ফলাফল আসতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বিএনপি কি এবারও জোটের রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দেবে নাকি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেবে।

১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে আবদুল কাহির চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলটির প্রার্থী ছিলেন আবুল হারিছ চৌধুরী। এর পর থেকে প্রায় ২৯ বছর বিএনপি আর সরাসরি এই আসনে প্রার্থী দেয়নি।