শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী উপলক্ষে আগামী ১ অক্টোবর থেকে (বুধবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পরদিন ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমী উপলক্ষেও রয়েছে সরকারি ছুটি। এরপর ৩ ও ৪ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সরকারি কর্মচারীরা টানা চার দিন (১-৪ অক্টোবর) ছুটিতে থাকবেন।
টানা এ ছুটি শুরু হওয়ার আগেই সিলেটে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, বিছানাকান্দিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। সড়কপথে দুর্ভোগ উপেক্ষা করে এবারের পূজার ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি সিলেট জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) চলমান থাকায় পূজার ছুটিতে হোটেল-মোটেলে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। এনসিএলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য নগরীর বিভিন্ন হোটেলে প্রায় ২০০টি কক্ষ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বুকিং করা হয়েছে। যার কারণে পর্যটকদের জন্য কক্ষ সংকট দেখা দেবে।
সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে ভালোমানের হোটেলগুলো প্রায় শতভাগই বুকিং হয়ে গেছে। ফলে আজ থেকে সিলেটে আসা পর্যটকরা রুম সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সিলেটের প্রায় সব হোটেলে অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের যাতে কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটে সড়কপথে দুর্ভোগ উপেক্ষা করে এবারের পূজার ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি সিলেট জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) চলমান থাকায় পূজার ছুটিতে হোটেল-মোটেলে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। এনসিএলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য নগরীর বিভিন্ন হোটেলে প্রায় ২০০টি কক্ষ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বুকিং করা হয়েছে। যার কারণে পর্যটকদের জন্য কক্ষ সংকট দেখা দেবে।
সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে ভালোমানের হোটেলগুলো প্রায় শতভাগই বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষত বড় হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। কক্ষ ফাঁকা না থাকায় পর্যটক ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।
সিলেট বিভাগে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটকনির্ভর। এখানকার প্রধানতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং, সাদাপাথর, রাতারগুল ও বিছনাকিান্দি।
সিলেট নগরীর হজরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজার দরগাহ এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাবছরই আমরা এরকম বাড়তি ছুটি ও উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এরকম সুযোগে পর্যটকরা বেশি আসেন। এবার আগেভাগে প্রায় সবকটি কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে।
গ্রান্ড প্যালেস হোটেল এন্ড রিসোর্ট সিলেট এর ম্যানেজার (অপারেশন) ফারুক আহমদ বলেন, আমাদের হোটেলে আর কোন বুকিং রাখা সম্ভব হচ্ছে না, ইতিমধ্যে সব রুম বুকিং হয়ে গেছে।
সিলেটের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল বলেন, এনসিলের কারণে সিলেটের বিভিন্ন হোটেলের প্রায় ২০০টি কক্ষ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বুকিং করা হয়েছে। যার কারণে এবার পর্যটকরা হোটেল সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সতর্ক রয়েছি।