সিলেট বিভাগে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাগুলোতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সোমবার রাতে প্রবাসী স্বামীর উদ্দেশ্যে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ ঝুমা রাণী দাস (২৬)। সালদীঘা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঝুমার স্বামী ফ্রান্স প্রবাসী রূপক চন্দ্র দাস। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুটে স্বামীর প্রশংসা ও কন্যা সন্তানের দায়িত্ব তুলে দিয়ে যান।
সিলেট নগরের শাহপরাণ থানার দাসপাড়া এলাকায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ ফার্মেসী থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী রণদির দাসের (৬৫) লাশ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অস্থির ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একই থানার দাসপাড়া চকগ্রামের নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় যুবক সাজ্জাদ উদ্দিন সৌরভের (৩৫) লাশ। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
সিলেটে নগরীর মীরাবাজার এলাকা থেকে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যা করেন রিকশা চালক মনসুর (৩০)। তিনি জয়পুরহাটের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে বসবাস করছিলেন। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিক্ষার্থী তুষার মিয়ার (১৭) মরদেহ। পরিবার জানিয়েছে, কিছুদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।
সব মিলিয়ে ২২-২৩ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। পুলিশ প্রতিটি ঘটনাগুলো নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।