, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

বড়লেখায় গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ : পাশেই স্বামী-সন্তানের প্রতি ভালোবাসার চিরকুট 

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঝুমা রাণী দাস (২৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যাতে লেখা ছিল- প্রিয় স্বামী, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি নিজেই দায়ি। আমার স্বামী খুবই ভালো মানুষ। আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি। আমার কলিজার টুকরা রাধিকাকে রেখে গেলাম তোমার কাছে। আমার বিশ্বাস তুমি রাধিকার মা, বাবা দুটোই হতে পারবে। আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো।-ইতি ঝুমা।

ঝুমা রাণী দাস (২৬) উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামের রূপক চন্দ্র দাসের স্ত্রী। তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তানের নাম রাধিকা (৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ ঝুমা রাণী দাস তার মেয়ে রাধিকা (৫) ও স্বামী রূপক চন্দ্র দাস সহ নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার স্বামী রূপক চন্দ্র দাস ফ্রান্স প্রবাসী। গত তিন মাস পূর্বে রূপক দাস ছুটিতে দেশে আসেন। সোমবার সকালে ঝুমার স্বামী, ভাসুর, শাশুড়ি ও মেয়ে আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। অসুস্থ থাকায় ঝুমা রাণী দাস বাড়িতে থেকে যান। বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে ঝুমা রাণী দাসের জা তার (ঝুমার) কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বসতঘরে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলেন। এসময় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুমাকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঝুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

বড়লেখায় গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ : পাশেই স্বামী-সন্তানের প্রতি ভালোবাসার চিরকুট 

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঝুমা রাণী দাস (২৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যাতে লেখা ছিল- প্রিয় স্বামী, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি নিজেই দায়ি। আমার স্বামী খুবই ভালো মানুষ। আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি। আমার কলিজার টুকরা রাধিকাকে রেখে গেলাম তোমার কাছে। আমার বিশ্বাস তুমি রাধিকার মা, বাবা দুটোই হতে পারবে। আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো।-ইতি ঝুমা।

ঝুমা রাণী দাস (২৬) উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামের রূপক চন্দ্র দাসের স্ত্রী। তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তানের নাম রাধিকা (৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ ঝুমা রাণী দাস তার মেয়ে রাধিকা (৫) ও স্বামী রূপক চন্দ্র দাস সহ নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার স্বামী রূপক চন্দ্র দাস ফ্রান্স প্রবাসী। গত তিন মাস পূর্বে রূপক দাস ছুটিতে দেশে আসেন। সোমবার সকালে ঝুমার স্বামী, ভাসুর, শাশুড়ি ও মেয়ে আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। অসুস্থ থাকায় ঝুমা রাণী দাস বাড়িতে থেকে যান। বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে ঝুমা রাণী দাসের জা তার (ঝুমার) কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বসতঘরে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলেন। এসময় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুমাকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঝুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।