সিলেটে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছে এক শিশুশিক্ষার্থী। ‘সবক’ (পড়া) দিতে না পারায় ৯ বছরের ওই শিশুকে চেয়ারের নিচে মাথা ঢুকিয়ে বেত্রাঘাত করেন শিক্ষক। একপর্যায়ে শিশুটির বুকের উপর পা দিয়ে চাপও দেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকরঘাট ইলিয়াস (রহ.) মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত হাফিজ হুজায়েল আহমদ ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
নির্যাতিত শিশুটি আবু তালহা গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের জাঙ্গাইল গ্রামের নাজিম উদ্দিনেরছেলে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী আবু তালহা জানান, ঠিকমতো সবক দিতে না পারায় হাফিজ হুজায়েল আহমদ দয়ামিরী হুজুর কয়েকটি জালি বেত একত্র করে আমার মাথা চেয়ারের নিচে ডুকিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে শুইয়ে দিয়ে বুকের উপর পা দিয়ে চাপ দেন। আমি কোন রকম ছাড়া পেয়ে দৌঁড়ে মাদরাসা থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী বালুরটেকে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
শিশু আবু তালহার মা জানান, আমার ছেলেকে অমানবিক নির্যাতনের পর ওই মাদরাসার দুইজন শিক্ষক বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আমার বাড়িতে এসে আমার ছেলের সন্ধান করেন। তারা জানান, মাগরিবের নামাজের পর থেকে তালহার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তালহা নিখোঁজের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সাংবাদিকরা খোঁজ খবর নিতে থাকেন। আমাদের গ্রামের লোকজনও তালহার খোঁজে বের হন। একপর্যায়ে সালুটিকরঘাটে একটি বালুরটেকের উপর তালহাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার জ্ঞান ফিরে আসলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সিলেট এম এ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যপারে ইলিয়াস (রহ.) মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজ হুজায়েল আহমদ বলেন, তালহা দুষ্টামী করেছিল। আমি মুহতামীম সাহেবের নির্দেশক্রমে তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেছি।