সিলেটের কানাইঘাটে এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শরিফ উদ্দিনকে বালাগঞ্জের তাজপুর থেকে আটক করা হয় বলে জানান কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল।
এরআগে এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত শরিফ উদ্দিন শরিফ পলাতক ছিলেন। অবশেষে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শরিফ উদ্দিনের বাবার নাম মুহিবুর রহমান। তিনি বিবাহিত এবং দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের জনক। তিনি কানাইঘাটের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।
ওসি জানান, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তাকে এক কিশোরীকে নিপীড়ন করতে দেখা যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে বালাগঞ্জের তাজপুর থেকে অভিযুক্ত মৌলভী মো. শরিফ উদ্দিন শরিফকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে, মৌলভী মো. শরিফ উদ্দিন শরিফ মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে শরিফ উদ্দিনের সিঙ্গারীপাড়ের বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর হরিপুর ও বালাগঞ্জে তার অবস্থান পাওয়া গেলেও অভিযান চালিয়েও তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।