, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা বিয়ানীবাজারে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তানে মামুনুল হকসহ সাত আলেম সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের এমডি আব্দুল্লাহ শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট এইড সাস্ট এর ‘ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প’ উদ্বোধন বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া উপর হামলার ঘটনায় মামলা লালাবাজারে পুলিশের অভিযানে বিদেশী মদসহ স্বামী-স্ত্রী আটক জগন্নাথপুরে সিংহ ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাটি গুজব সিলেটে সুপারির দামে অস্থিরতা : কেজিপ্রতিতে দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা

ওসমানীনগরের আলোচিত শিপন হত্যা মামলার রায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৯ পড়া হয়েছে

সিলেটের ওসমানীনগরের আলোচিত শিপন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার ঘোষণা করেন ৬৩ পৃষ্টার এ রায় ।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম জয়নুল হক ধন মিয়া (৫০)। ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামের মৃত দরস উল্লাহর পুত্র তিনি।

বর্তমানে পলাতক রয়েছেন দন্ড প্রাপ্ত এ আসামী।

হত্যার শিকার শিপন মিয়া একই গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র।

এছাড়াও আরো ৮ আসামীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। তারা হলেন একই এলাকার আলা মিয়া, সেলিম মিয়া, হেলিম মিয়া,সাদিক মিয়া, মোস্তফা মিয়া, ফরিদ মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া ও মানিক মিয়া। তারা উচ্চ আদালতে আপিল মামলা দায়েরের শর্তে পেয়েছেন জামিন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট দেবাশীষ পুরকায়স্থ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ মে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে ঈশাগ্রাই গ্রামের মানিক মিয়ার গরু একই গ্রামের ছুরাব আলীর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া ও ধন মিয়া তাদের দলবল নিয়ে হত্যার শিকার শিপনের পরিবারের উপর আক্রমন চালায়। এসময় ধন মিয়ার দেশীয় অস্ত্র ছুলফির আঘাতে গুরুত্বর জখম হন শিপন মিয়া। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। মৃত্যুর পরের দিন শিপনের বড় ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামী করে সিলেট জেলা পুলিশের ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওসমানীনগর থানার তৎকালীন এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার তদন্ত সাপেক্ষে আরও ১ জনকে আসামী হিসেবে যুক্ত করেন। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।

মামলাটিতে মোট আসামী ছিলেন ২৮ জন। তার মধ্যে ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৮ জনকে ছয়মাসের কারাদণ্ড ও বাকী ১৯ জন আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

এদিকে, এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত শিপনের পরিবার। মামলার বাদী শিপনের ভাই রিপন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম অন্তত আমার ভাইয়ের হত্যাকারী ধন মিয়ার ফাঁসির রায় হবে। কিন্তু আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন তাকে।

জনপ্রিয়

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা

ওসমানীনগরের আলোচিত শিপন হত্যা মামলার রায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটের ওসমানীনগরের আলোচিত শিপন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার ঘোষণা করেন ৬৩ পৃষ্টার এ রায় ।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম জয়নুল হক ধন মিয়া (৫০)। ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামের মৃত দরস উল্লাহর পুত্র তিনি।

বর্তমানে পলাতক রয়েছেন দন্ড প্রাপ্ত এ আসামী।

হত্যার শিকার শিপন মিয়া একই গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র।

এছাড়াও আরো ৮ আসামীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। তারা হলেন একই এলাকার আলা মিয়া, সেলিম মিয়া, হেলিম মিয়া,সাদিক মিয়া, মোস্তফা মিয়া, ফরিদ মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া ও মানিক মিয়া। তারা উচ্চ আদালতে আপিল মামলা দায়েরের শর্তে পেয়েছেন জামিন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট দেবাশীষ পুরকায়স্থ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ মে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে ঈশাগ্রাই গ্রামের মানিক মিয়ার গরু একই গ্রামের ছুরাব আলীর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া ও ধন মিয়া তাদের দলবল নিয়ে হত্যার শিকার শিপনের পরিবারের উপর আক্রমন চালায়। এসময় ধন মিয়ার দেশীয় অস্ত্র ছুলফির আঘাতে গুরুত্বর জখম হন শিপন মিয়া। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। মৃত্যুর পরের দিন শিপনের বড় ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামী করে সিলেট জেলা পুলিশের ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওসমানীনগর থানার তৎকালীন এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার তদন্ত সাপেক্ষে আরও ১ জনকে আসামী হিসেবে যুক্ত করেন। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।

মামলাটিতে মোট আসামী ছিলেন ২৮ জন। তার মধ্যে ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৮ জনকে ছয়মাসের কারাদণ্ড ও বাকী ১৯ জন আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

এদিকে, এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত শিপনের পরিবার। মামলার বাদী শিপনের ভাই রিপন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম অন্তত আমার ভাইয়ের হত্যাকারী ধন মিয়ার ফাঁসির রায় হবে। কিন্তু আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন তাকে।