সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রিজে হকার বসা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নবাগত জেলা প্রশাসক বলেন, কিনব্রিজকে শুধু হাঁটাহাঁটির জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এখানে আর কোনো হকার বসতে পারবে না, মোটরসাইকেলও উঠতে পারবে না। মোটরসাইকেল যাতে ব্রিজে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য ব্রিজের দুই প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে। শনিবার থেকেই এ কাজ শুরু হবে।
১৯৩৩ সালে নির্মিত ১ হাজার ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থের এই সেতুটি ১৯৩৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ভারতের আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামানুসারে এর নামকরণ হয় কিনব্রিজ। লাল রঙের ধনুকের মতো বাঁকানো লোহার এই সেতুটি এখনো পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
২০১৯ সালে সেতুর ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে উভয় প্রান্তে লোহার বেষ্টনী বসিয়ে দেওয়া হয় এবং সামনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু লেখা সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
মতবিনিময় সভায় আলী আমজদের ঘড়িঘরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ উদ্যোগ প্রসঙ্গে ডিসি সারওয়ার বলেন, ঘড়িঘর সিলেটের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর একটি। এ স্থাপনায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও আপত্তি ওঠায় সেটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শিগগিরই আশপাশের অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সুরমা নদীর তীরবর্তী চাঁদনীঘাট এলাকায় ট্রাক পার্কিংয়ের কারণে ভ্রমণকারীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তাই আগামী শনিবার থেকে সেখানে আর কোনো ট্রাক পার্কিং করতে দেয়া হবে না এবং পুরো এলাকা পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম শুরু হবে।