সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে টাস্কফোর্সের অভিযানে অবৈধভাবে ধলাই সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলনেরকালে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত প্রত্যেককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় ৬টি স্টিল বডি নৌকা ও লিস্টার মেশিন লাগানো ২টি কাঠের বারকি নৌকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোহাম্মদ রতন শেখের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কালাসাদেক বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো; ইকবাল হোসেনসহ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
অভিযানকালে ধলাই সেতুর ৫০০ মিটারের মধ্যে লিস্টার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেলে ৮টি নৌকা আটক ও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জেল দেওয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার দুরালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র মোঃ এবাদুর রহমান (২২), একই উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর পুত্র মোঃ একরাম হোসেন (২২), আব্দুল হানিফ এর পুত্র মোঃ আতাউর রহমান (৩৩), আব্দুস সুবাহানের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৫), রইছ আলীর পুত্র মুজিবুর রহমান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মফিকুল হক (৩০), একই উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে মো. সজিব (২২),মৃত গোলাম মোস্তফা’র পুত্র আলী রাজ (২৮), জামালগঞ্জ উপজেলার হরিণাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর পুত্র মো. মহাসিন আহমদ (২৮), পিতা মৃত আব্দুল হাই, তাহিরপুর উপজেলার শুলাহা গ্রামের মৃত দেওয়ানের পুত্র মোঃ তৌফিক মিয়া (৩০), একই গ্রামের মনজুর আলীর পুত্র মো. আলী হোসেন (২৩),
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিন মিয়া বলেন, লিজ বহির্ভূত এলাকা ও ধলাই সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রতন শেখ জানান, ‘আটক ১১জনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।