, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা বিয়ানীবাজারে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তানে মামুনুল হকসহ সাত আলেম সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের এমডি আব্দুল্লাহ শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট এইড সাস্ট এর ‘ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প’ উদ্বোধন বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া উপর হামলার ঘটনায় মামলা লালাবাজারে পুলিশের অভিযানে বিদেশী মদসহ স্বামী-স্ত্রী আটক জগন্নাথপুরে সিংহ ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাটি গুজব সিলেটে সুপারির দামে অস্থিরতা : কেজিপ্রতিতে দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা

সিলেটের আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশ থেকে স্মৃতিফলক সরিয়ে নেওয়া হবে : সারওয়ার আলম

সিলেট নগরের ক্বিন ব্রিজ এলাকায় ঐতিহ্যবাহী ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘরের পাশ থেকে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে নির্মাণাধীন স্মৃতিফলক সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, নতুন জায়গা নির্ধারণ করে নির্মাণাধীন স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সরিয়ে নেওয়া হবে।

বিকালে সভায় সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং স্মৃতিস্তম্ভটি আলাদা জায়গায় স্থাপনের জন্য যারা স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশ নেওয়া সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো বলেন, বৈঠকে শুরুতেই জেলা প্রশাসক সবার বক্তব্য শোনেন। পরে ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘর এলাকা থেকে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ সরানোর সিদ্ধান্ত নেন জেলা প্রশাসক। তিনি ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণে নতুন স্থানের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘরের পাশে নির্মিত স্থাপনা অপসারণের দাবিতে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’, ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন’, ‘পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের’ পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সিলেট নগরের সুরমা নদীর পাড় আর সারদা হলের মাঝখানে শহরের জিরো পয়েন্ট। তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যে ‘আলী আমজদের’ ঘড়ির অবস্থান। ক্বিন ব্রিজ পার হয়ে শহরের উত্তর অংশের ঠিক প্রবেশ মুখে এটি দাঁড়িয়ে আছে ১৮৭৪ সাল থেকে।

জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা, স্মৃতিফলকটি অপসারণে স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ প্রকাশের পর জুলাই স্মৃতিফলকের নির্মাণকাজ স্থগিত করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

জনপ্রিয়

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা

সিলেটের আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশ থেকে স্মৃতিফলক সরিয়ে নেওয়া হবে : সারওয়ার আলম

প্রকাশের সময় : ০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেট নগরের ক্বিন ব্রিজ এলাকায় ঐতিহ্যবাহী ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘরের পাশ থেকে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে নির্মাণাধীন স্মৃতিফলক সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, নতুন জায়গা নির্ধারণ করে নির্মাণাধীন স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সরিয়ে নেওয়া হবে।

বিকালে সভায় সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং স্মৃতিস্তম্ভটি আলাদা জায়গায় স্থাপনের জন্য যারা স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশ নেওয়া সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো বলেন, বৈঠকে শুরুতেই জেলা প্রশাসক সবার বক্তব্য শোনেন। পরে ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘর এলাকা থেকে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ সরানোর সিদ্ধান্ত নেন জেলা প্রশাসক। তিনি ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণে নতুন স্থানের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘরের পাশে নির্মিত স্থাপনা অপসারণের দাবিতে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’, ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন’, ‘পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের’ পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সিলেট নগরের সুরমা নদীর পাড় আর সারদা হলের মাঝখানে শহরের জিরো পয়েন্ট। তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যে ‘আলী আমজদের’ ঘড়ির অবস্থান। ক্বিন ব্রিজ পার হয়ে শহরের উত্তর অংশের ঠিক প্রবেশ মুখে এটি দাঁড়িয়ে আছে ১৮৭৪ সাল থেকে।

জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা, স্মৃতিফলকটি অপসারণে স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ প্রকাশের পর জুলাই স্মৃতিফলকের নির্মাণকাজ স্থগিত করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।