সিলেট নগরের ক্বিন ব্রিজ এলাকায় ঐতিহ্যবাহী ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘরের পাশ থেকে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে নির্মাণাধীন স্মৃতিফলক সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, নতুন জায়গা নির্ধারণ করে নির্মাণাধীন স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিকালে সভায় সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং স্মৃতিস্তম্ভটি আলাদা জায়গায় স্থাপনের জন্য যারা স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অংশ নেওয়া সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো বলেন, বৈঠকে শুরুতেই জেলা প্রশাসক সবার বক্তব্য শোনেন। পরে ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘর এলাকা থেকে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ সরানোর সিদ্ধান্ত নেন জেলা প্রশাসক। তিনি ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণে নতুন স্থানের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ‘আলী আমজদের’ ঘড়িঘরের পাশে নির্মিত স্থাপনা অপসারণের দাবিতে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’, ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন’, ‘পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের’ পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সিলেট নগরের সুরমা নদীর পাড় আর সারদা হলের মাঝখানে শহরের জিরো পয়েন্ট। তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যে ‘আলী আমজদের’ ঘড়ির অবস্থান। ক্বিন ব্রিজ পার হয়ে শহরের উত্তর অংশের ঠিক প্রবেশ মুখে এটি দাঁড়িয়ে আছে ১৮৭৪ সাল থেকে।
জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা, স্মৃতিফলকটি অপসারণে স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ প্রকাশের পর জুলাই স্মৃতিফলকের নির্মাণকাজ স্থগিত করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।