সিলেটে পুলিশের ২২ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাথর লুটকাণ্ডে আলোচিত কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত ১১ জন উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রয়েছেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, সোমবার জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ২২ সদস্যকে রদবদল করা হয়েছে। এটি নিয়মিত বদলিরই একটি অংশ।
এদিকে ১৩ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাদাপাথরে লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগের ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দুদক তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। এ ছাড়া লুটের টাকার ভাগ স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি পেত বলেও সংস্থাটি প্রতিবেদনে জানায়। ওই প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার তিনজন এসআই ও একজন এএসআই এবং গোয়াইনঘাট থানার চারজন এসআই ও তিনজন এএসআইকে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া অন্যরা বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার থানা এবং গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সিলেটের মোটরযান শাখায় কর্মরত আছেন।
বদলি হওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন এসআই, ৭ জন এএসআই এবং ২ জন কনস্টেবল রয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানা থেকে ১১ জনকে অন্যত্র বদলি করার পাশাপাশি জেলার অন্য থানা থেকে এ দুটি থানায় বদলি করা হয়েছে নয়জনকে। এর মধ্যে তিনজনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এবং ছয়জনকে গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জেলার ২২ পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে। যেহেতু সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এবং গোয়াইনঘাটের জাফলংসহ ওই দুটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাথর লুটের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়, এ কারণে থানা দুটির ১১ পুলিশ সদস্যকেও এ নিয়মিত বদলিতে রাখা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ওই দুটি থানার আরও কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বদলির সম্ভাবনা রয়েছে।