সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার কুখ্যাত উমনপুর টানিং যেন দিন দিন রূপ নিচ্ছে মৃত্যুকূপে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই স্থানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক তরতাজা যুবক, আহত হয়েছেন তার সহযাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহাগ আহমদ (২০) ও তার বন্ধু সাফি আহমদ (২০) মোটরসাইকেলযোগে হরিপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে বিপরীত দিক থেকে আসা এক বেপরোয়া দ্রুতগামী ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই তারা ছিটকে পড়েন রক্তাক্ত দেহ নিয়ে রাস্তার উপর। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গুরুতর আহত সোহাগকে রাতেই আইসিইউতে ভর্তি করা হলেও বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার সহযাত্রী সাফি আহমদের হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত সোহাগ আহমদ ছিলেন সিলেট-তামাবিল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি আফতাব উদ্দিনের কনিষ্ঠ পুত্র। এ অকাল মৃত্যুর খবরে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
স্থানীয় সচেতন মহল দীর্ঘদিন ধরেই উমনপুর টানিংয়ে দুর্ঘটনার কালো অধ্যায়,হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। তাদের অভিযোগ, এখানে নেই যথাযথ সড়ক নকশা, নেই কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আর বেপরোয়া গতিই প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে নিরীহ প্রাণ। সঠিক গতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও কার্যকর নজরদারি না থাকায় দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের অনিবার্য বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে।
নিহত সোহাগ আহমদের জানাজা বুধবার (২০ আগস্ট) বাদ আসর পশ্চিম ঠাকুরের মাটি কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত ও দোয়া কামনা করা হয়েছে।