ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট। তবে এখনো জমে ওঠেনি কেনাবেচা। পশুর সংখ্যাও আশানুরূপ না হওয়ায় অনেক হাটে ফাঁকা জায়গা চোখে পড়ছে।
ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ও ছাগল আনতে শুরু করলেও ক্রেতাদের আনাগোনা কম। কোথাও কোথাও দেখা গেছে, হাটে গরু বেঁধে রেখে ব্যবসায়ীরা বিশ্রামে সময় কাটাচ্ছেন। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, আগের বছরগুলোতে ঈদের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠত, এবার তার ব্যতিক্রম।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, টানা বৃষ্টিপাত, সীমান্ত অঞ্চলের জলাবদ্ধতা ও বন্যার কারণে পশু পরিবহনে বিলম্ব হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে হাটের সরবরাহে।
সিলেট নগরীর সবচেয়ে বড় হাট কাজিরবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বড় গরুর দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি কিছুটা কম। অন্যদিকে, মাঝারি ও ছোট গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে বেশি।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এবার জেলার ৬২টি ও মহানগরের ১২টি মিলিয়ে মোট ৭৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন অনুমোদন দিয়েছে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ট্রাক টার্মিনাল, মাছিমপুর কয়েদীর মাঠ, শাহপরান গেইট ও টিলাগড় পয়েন্টসহ ১২টি স্থানে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার সিলেট জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা প্রায় ১ লাখ ২ হাজার। এর মধ্যে গরুর চাহিদা ৮০ হাজার হলেও প্রস্তুত রয়েছে মাত্র ৬৭ হাজার, ফলে প্রায় ১২ হাজার গরুর ঘাটতি রয়েছে। তবে ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই।
সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিয়া বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু ঘাটতি থাকলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পশু আসার সঙ্গে সঙ্গে সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। আশা করছি, কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাটগুলো জমে উঠবে।
পশুর ঘাটতি ও ক্রেতা সংকটের এই চিত্র যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তবে ঈদের বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।