, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

সিলেটে ছিনতাই বন্ধ হোক, কিন্তু সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নয়

পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। অথচ সিলেট মহানগর পুলিশ এবার ছিনতাই ও অপরাধ দমনে ব্যর্থ হয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে নাগরিক মহলে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সিলেট মহানগর এলাকায় সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার এবং প্যাডেলচালিত রিকশার ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী ঘোষণা দেন—সিএনজির সামনে ও পেছনে গ্রিল লাগানো বাধ্যতামূলক করা হবে এবং প্রতিটি সিএনজিতে সর্বোচ্চ তিনজন যাত্রী বহন করা যাবে।

কিন্তু এ সিদ্ধান্তে সাধারণ যাত্রীদের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সিএনজি এখন ৫ সিটের ভাড়া নিয়ে ৩ সিটের যাত্রী তুলবে। অর্থাৎ কম যাত্রী নিয়ে ডাবল ভাড়া আদায় করবে চালকরা। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।

নগরবাসীর অভিযোগ, ছিনতাই-চুরি-চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পেরে পুলিশ বরং জনগণের ওপর বাড়তি চাপ দিচ্ছে। নতুন এই নির্দেশনায় সিএনজি ভাড়া বাড়লেও পুলিশের পক্ষ থেকে সেই ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কোনো তৎপরতা দেখা যাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।

নাগরিক সমাজ বলছে—“ছিনতাই বন্ধ হোক, কিন্তু সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নয়।”

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

সিলেটে ছিনতাই বন্ধ হোক, কিন্তু সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নয়

প্রকাশের সময় : ০১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। অথচ সিলেট মহানগর পুলিশ এবার ছিনতাই ও অপরাধ দমনে ব্যর্থ হয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে নাগরিক মহলে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সিলেট মহানগর এলাকায় সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার এবং প্যাডেলচালিত রিকশার ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী ঘোষণা দেন—সিএনজির সামনে ও পেছনে গ্রিল লাগানো বাধ্যতামূলক করা হবে এবং প্রতিটি সিএনজিতে সর্বোচ্চ তিনজন যাত্রী বহন করা যাবে।

কিন্তু এ সিদ্ধান্তে সাধারণ যাত্রীদের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সিএনজি এখন ৫ সিটের ভাড়া নিয়ে ৩ সিটের যাত্রী তুলবে। অর্থাৎ কম যাত্রী নিয়ে ডাবল ভাড়া আদায় করবে চালকরা। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।

নগরবাসীর অভিযোগ, ছিনতাই-চুরি-চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পেরে পুলিশ বরং জনগণের ওপর বাড়তি চাপ দিচ্ছে। নতুন এই নির্দেশনায় সিএনজি ভাড়া বাড়লেও পুলিশের পক্ষ থেকে সেই ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কোনো তৎপরতা দেখা যাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।

নাগরিক সমাজ বলছে—“ছিনতাই বন্ধ হোক, কিন্তু সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নয়।”