সিলেটবাসী ভয়াবহ লোডশেডিং থেকে কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি, কারিগরি জটিলতা ও সরঞ্জামের ত্রুটির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে লক্ষাধিক গ্রাহককে।
গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। দিনে কিংবা রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ২৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল মাত্র ১৬৫ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি দাঁড়ায় প্রায় ৬০ ভাগ। শুধু সিলেট জেলাতেই ১৬০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ১০০ মেগাওয়াট। এই সংকটের কারণেই ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার ঘটনা ঘটছে।
বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিনের বেলা কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রাতে বিশ্রাম নিতেও পারছেন না অনেকেই।
এদিকে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আরও একটি কারণ হিসেবে সামনে এসেছে পল্লী বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গত শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জসহ পাঁচটি উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।
ফেঞ্চুগঞ্জ এরিয়া অফিসের এজিএম শামসুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণে সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে। আপাতত বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং সমাধানের জন্য কাজ চলছে।
অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ ও বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা।