সিলেট বিভাগের সবকটি আসনের কোনোতিতেই এখনো বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয়ভাবে লাল বা নীল সিগন্যাল পাননি। তবে রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে রাজধানী ঢাকায় শুরু হচ্ছে দলের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার কার্যক্রম। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে গঠিত মনোনয়ন বোর্ড পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন বলে জানিয়েছেন দলীয় সূত্র।
দলীয় সূত্রগুলোর ভাষ্য, প্রার্থীদের সাংগঠনিক ভূমিকা, জনপ্রিয়তা, জনসম্পৃক্ততা ও অতীত ত্যাগের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হবে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো আসনে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভুয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল ও ফেসবুক পেজে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি বিতর্কিত অনেক প্রার্থীর পক্ষ থেকেও “মনোনয়ন পেয়েছেন” শিরোনামে পোস্ট ভাইরাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “বিএনপি কখনো ফেসবুক পোস্ট বা গুজবের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ করে না। প্রতিটি আসনে যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও ত্যাগী নেতাকেই ধানের শিষ প্রতীক দেওয়া হবে, ইন শা আল্লাহ।”
সিলেট মহানগর বিএনপির এক নেতা বলেন, “আমরা সবাই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি মনোনয়ন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। বিএনপি এমন আচরণ বরদাশত করবে না।”
দলীয় সূত্র জানায়, রোববার থেকেই মনোনয়ন সাক্ষাৎকার শুরু হয়ে কয়েক ধাপে শেষ হবে। এরপর হাইকমান্ডের অনুমোদনক্রমে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে বিএনপি সিলেটসহ সারাদেশে নতুন ও তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিতে পারে। তবে দলীয় শীর্ষ নেতারা সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, “চূড়ান্ত তালিকা না আসা পর্যন্ত কোনো গুজবে কান দেবেন না।”