শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকায় ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেট থেকে ডমেস্টিক ফ্লাইট চলাচলও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি বেশিরভাগ যাত্রী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তবে ভোগান্তির পাশাপাশি আছে স্বস্তির খবরও। অগ্নিকাণ্ডের কারণে যে ফ্লাইটগুলো ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেসব ফ্লাইটের সিলেটের যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করছেন। কারণ এসব ফ্লাইটের সিলেটের যাত্রীদের সিলেটে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৩১ মিনিটে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৪০ একটি ফ্লাইট ৩৯৬ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটের ৩৯৬ জন যাত্রীর মধ্যে ১২জন ছিলেন সিলেটের বাসিন্দা। এই ১২ জনকে সিলেটে নামিয়ে দেয় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এই বিমানে ৮ মাস পর দেশে আসেন সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার আটঘর গ্রামের তানজিম আহমেদ। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আগুন লাগার কারণে আমাদেরকে সিলেট বিমানবন্দরে নামানো হয়। এরপর বিমান কর্তৃপক্ষ এই ফ্লাইটে সিলেটের ১২ জন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামিয়ে দেয়। এতে অনেক ভালো হয়েছে। কারণ শুনেছি গাড়িতে ঢাকা থেকে সিলেট আসতে ১৬ ঘণ্টা লাগে। আর ট্রেনের টিকেটতো পাওয়াই যায় না। তাই আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।
এদিকে সাউথ কোরিয়া প্রবাসী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পীরনগর গ্রামের আব্দুস সামাদ ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট করেছিলেন। ৪টা ৩০ মিনিটে তিনি ডমেস্টিক ফ্লাইটে ঢাকা গিয়ে রাত ১০টা ১০ মিনিটে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট ধরার কথা। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে ইউএসবাংলা তাদের ফ্লাইট ডিলে করেছে। তাই বিপাকে পড়েছেন আব্দুস সামাদ। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ছুটি শেষে আমার আজ সাউথ কোরিয়া ফিরে যাবার কথা। কিন্তু মনে হচ্ছে না যেতে পারব। কারণ ইউএসবাংলা তাদের ফ্লাইট ডিলে করেছে। বলছে ১০টার দিকে ফ্লাইট যেতে পারে। কিন্তু তখন গিয়ে আমি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ধরতে পারব না। তাই আমি অনেক সমস্যায় পড়ব। কারণ আমি সময়মতো গিয়ে চাকরিতে জয়েন করতে পারব না। আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোট তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে। মালদ্বীপ ও সিংগাপুর থেকে ইউএস বাংলার দুটি ফ্লাইট এবং সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এই ঘটনায় এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ডমেস্টিক ফ্লাইট চলাচলও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউএস বাংলার দুটি ও নভোএয়ারে একটি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















