, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

সিলেটে সাংবাদিকের ওপর হামলা: আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটে আদালত প্রাঙ্গণে খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মুঠোফোন ভাঙচুরের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর ও বালু লুট মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

হামলার শিকার ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার  বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ, তাঁর ভাই ও ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরই সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদাপাথর লুট–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল ওয়াদুদকে রিমান্ড শুনানির জন্য সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। সে সময় তাঁর সমর্থক ও নেতা–কর্মীরা আদালত এলাকায় জড়ো হন। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় কয়েকজন সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করছিলেন।

এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিক নয়ন সরকারের মুঠোফোন কেড়ে নেন। অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মুঠোফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। বায়জিদ পরে ফোনে থাকা ভিডিও মুছে সেটি ফেরত দেন। এ ঘটনায় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ওয়াদুদ ও তাঁর সহযোগীরা আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল করেন।

সাংবাদিক নয়ন সরকারের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামি তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে হাজতে চলে যান। পুলিশ তাঁর মুঠোফোন উদ্ধারে কোনো সহযোগিতা করেনি। পরে তিনি জানতে পারেন, ফোনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম বলেন, সাংবাদিকেরা খুব কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা মুঠোফোনটি পুলিশের হেফাজতে আছে। আদালত প্রাঙ্গণে তখন অনেক ভিড় ছিল। কারা সাংবাদিক আর কারা আসামির লোকজন, সেটি জানার উপায় ছিল না।

অভিযুক্ত আসামি কাজী আবদুল ওয়াদুদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা এবং ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বর্তমানে তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন।

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

সিলেটে সাংবাদিকের ওপর হামলা: আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

সিলেটে আদালত প্রাঙ্গণে খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মুঠোফোন ভাঙচুরের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর ও বালু লুট মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

হামলার শিকার ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার  বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ, তাঁর ভাই ও ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরই সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদাপাথর লুট–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল ওয়াদুদকে রিমান্ড শুনানির জন্য সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। সে সময় তাঁর সমর্থক ও নেতা–কর্মীরা আদালত এলাকায় জড়ো হন। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় কয়েকজন সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করছিলেন।

এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিক নয়ন সরকারের মুঠোফোন কেড়ে নেন। অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মুঠোফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। বায়জিদ পরে ফোনে থাকা ভিডিও মুছে সেটি ফেরত দেন। এ ঘটনায় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ওয়াদুদ ও তাঁর সহযোগীরা আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল করেন।

সাংবাদিক নয়ন সরকারের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামি তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে হাজতে চলে যান। পুলিশ তাঁর মুঠোফোন উদ্ধারে কোনো সহযোগিতা করেনি। পরে তিনি জানতে পারেন, ফোনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম বলেন, সাংবাদিকেরা খুব কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা মুঠোফোনটি পুলিশের হেফাজতে আছে। আদালত প্রাঙ্গণে তখন অনেক ভিড় ছিল। কারা সাংবাদিক আর কারা আসামির লোকজন, সেটি জানার উপায় ছিল না।

অভিযুক্ত আসামি কাজী আবদুল ওয়াদুদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা এবং ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বর্তমানে তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন।