, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ বিস্ফোরক উদ্ধার সিলেটের গোলাপগঞ্জে পদায়নের আগেই হুমকির মুখে নতুন ইউএনও শাখী ছেপ বিশ্বনাথে জেন্ডার সচেতনা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে প্রশাসনের অভিযানে হকারমুক্ত ফুটপাত হাদীকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের পালানো আটকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান সিলেটে হাওরের ভূগর্ভস্থে পানির ভয়াবহ সংকট আইন অমান্য করে সিলেটে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থীরা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: গোয়াইনঘাটে কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা শাবিপ্রবি সাস্ট এআইসিএইচই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন

ছবি তুলতে যাওয়ায় সিলেট আদালতে সাংবাদিকদের ‍উপর আলফু চেয়ারম্যানের হামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯৬ পড়া হয়েছে

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর লুটপাট মামলার অন্যতম আসামি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ আলফু ও তার ছেলে আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে আলফু মিয়ার রিমান্ড শুনানি হয়। খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে উপস্থিত হন সাংবাদিকরা। শুনানি শেষে আফলুকে প্রিজন ভ্যেনে নিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে আলফু ও তার ছেলে হামলা চালান। এতে ইমজা নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার এবং বৃত্ত আহত হন। আলফুর ছেলে তাদের মোবাইফ ফোন কেড়ে নেয়।

জানা গেছে, শুনানি চলার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় আলফু মিয়া পুলিশের সামনেই সাংবাদিক নয়ন সরকারের হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। একইসঙ্গে আলফুর ছেলে সাংবাদিক বৃত্তের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করে। নয়নের সহকর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের দিকেও হামলার চেষ্টা হয়।

সাংবাদিক নয়ন সরকার বলেন, “আমি নিয়মিতভাবে আদালত কাভার করছিলাম। হঠাৎ আলফু মিয়ার ছেলে আমার ওপর হামলা চালায়। এরপর হাতকড়া পরা অবস্থায় আলফু নিজেই আমার মোবাইলটি নিয়ে নেয়। ঘটনাটি পুলিশের সামনেই ঘটে।”

ঘটনার পর নয়ন সরকার বিষয়টি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা তদন্তের আশ্বাস দেন।

ইমজা নিউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের মতো নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে সাংবাদিকের ওপর এমন হামলা চরম উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। তারা অবিলম্বে তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয়

বিয়ে করে ফ্রান্সে নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী অন্যের

ছবি তুলতে যাওয়ায় সিলেট আদালতে সাংবাদিকদের ‍উপর আলফু চেয়ারম্যানের হামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর লুটপাট মামলার অন্যতম আসামি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ আলফু ও তার ছেলে আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে আলফু মিয়ার রিমান্ড শুনানি হয়। খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে উপস্থিত হন সাংবাদিকরা। শুনানি শেষে আফলুকে প্রিজন ভ্যেনে নিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে আলফু ও তার ছেলে হামলা চালান। এতে ইমজা নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার এবং বৃত্ত আহত হন। আলফুর ছেলে তাদের মোবাইফ ফোন কেড়ে নেয়।

জানা গেছে, শুনানি চলার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় আলফু মিয়া পুলিশের সামনেই সাংবাদিক নয়ন সরকারের হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। একইসঙ্গে আলফুর ছেলে সাংবাদিক বৃত্তের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করে। নয়নের সহকর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের দিকেও হামলার চেষ্টা হয়।

সাংবাদিক নয়ন সরকার বলেন, “আমি নিয়মিতভাবে আদালত কাভার করছিলাম। হঠাৎ আলফু মিয়ার ছেলে আমার ওপর হামলা চালায়। এরপর হাতকড়া পরা অবস্থায় আলফু নিজেই আমার মোবাইলটি নিয়ে নেয়। ঘটনাটি পুলিশের সামনেই ঘটে।”

ঘটনার পর নয়ন সরকার বিষয়টি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা তদন্তের আশ্বাস দেন।

ইমজা নিউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের মতো নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে সাংবাদিকের ওপর এমন হামলা চরম উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। তারা অবিলম্বে তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”