সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে যাত্রী ছাউনি ও ড্রেন নির্মাণ নিয়ে দুই ব্যক্তির কথা-কাটাকাটির জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট ) রাত ৯টার সময় এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলে ১১ টা পর্যন্ত।
এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত এবং রেষ্টুরেন্ট ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। গুরুতর আহত ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে লালাবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান চৌধুরী সিপতাকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক দায়েরকৃত মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মিজানুর রহমান। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটক ২ জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শিমুল মিয়া (২০) ও আব্দুর রহমান (২২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার সময় লালাবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভায় ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমদ লিটন ও বিএনপি নেতা আমিনুর চৌধুরী সিপতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জুবায়ের আহমদ লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাঁপড়ী রেষ্টুরেষ্টে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এছাড়া সেখানে রাখা ৪টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর হয়। এতে ১০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমদ লিটন বিএনপি সমর্থিত ও প্রতিপক্ষ আমিনুর চৌধুরী সিপতা লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। লালাবাজারে ড্রেন নির্মাণকাজ চলমান। এ নিয়ে বাজারের মসজিদের পাশে থাকা একটি যাত্রীছাউনি ভাঙা হবে কি না-তা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সিপতা ছাউনি ভেঙে ড্রেন নির্মাণে সমর্থন করেন। বাজারের ব্যবসায়ী ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ লিটন এবং তাঁর লোকজন ছাউনি রেখে কাজ করার পক্ষ নেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে।