, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত সিলেটে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধি ৪০ জন পেলেন সেলিম উদ্দিনের উপহার মৌলভীবাজারে রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল তরুণের নিথর দেহ সিলেটে শিশু নিপীড়ক শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা, কারাগারে প্রেরণ বিয়ানীবাজারে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, এলাকায় তোলপাড়! সংস্কার না করেই নির্বাচন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকারের শামিল : সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ সিলেটে বুকের উপর পায়ের চাপ দিয়ে শিশুকে পেটালেন মাদ্রাসা শিক্ষক বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ২৯ জনকে আসামি করে মামলা আফগানিস্তানের বিদায়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা বিয়ানীবাজারে ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

জাফলংয়ে ৬৭ অবৈধ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্দেশের পর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (১৮ জুন) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় ৬৭টি অবৈধ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করেছে টাস্কফোর্স।

সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রতন কুমার অধিকারী। অভিযানে সহায়তা করে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগ।

অভিযানে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ, পিডিবির প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমদ, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম ও বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. বিপ্লব হোসেন।

ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

এর আগে সোমবার ধোপাগুল এলাকায় ৩০টি এবং জৈন্তাপুরে ৫টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মঙ্গলবার ধোপাগুলেই ৩৩টি ক্রাশার মেশিনের মিটার জব্দ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৪ জুন) জাফলংয়ের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

এসময় জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ, তাহলে এসব ক্রাশারে পাথর আসছে কোথা থেকে? যদি আমদানি করা হয়, তবে সেগুলোর নির্দিষ্ট গন্তব্য রয়েছে।’ এরপরই তিনি অবৈধ ক্রাশারগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করলে এক পর্যায়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

জাফলংয়ে ৬৭ অবৈধ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশের সময় : ০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্দেশের পর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (১৮ জুন) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় ৬৭টি অবৈধ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করেছে টাস্কফোর্স।

সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রতন কুমার অধিকারী। অভিযানে সহায়তা করে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগ।

অভিযানে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ, পিডিবির প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমদ, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম ও বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. বিপ্লব হোসেন।

ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

এর আগে সোমবার ধোপাগুল এলাকায় ৩০টি এবং জৈন্তাপুরে ৫টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মঙ্গলবার ধোপাগুলেই ৩৩টি ক্রাশার মেশিনের মিটার জব্দ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৪ জুন) জাফলংয়ের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

এসময় জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ, তাহলে এসব ক্রাশারে পাথর আসছে কোথা থেকে? যদি আমদানি করা হয়, তবে সেগুলোর নির্দিষ্ট গন্তব্য রয়েছে।’ এরপরই তিনি অবৈধ ক্রাশারগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করলে এক পর্যায়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।