সিলেটের জৈন্তাপুরে বড়গাং নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে প্রকাশ্যে দা উচিয়ে হামলা চালিয়েছে এক ব্যক্তি। এতে আহত হয়েছেন এক শ্রমিক। হামলাকারী চাঁদাবাজ বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
মঙ্গলবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, বড়গাং নদী সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় হামলা চালানো হয়। এনিয়ে নদীতে দিনভর উত্তোজনা ছড়িয়ে পড়ে। মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইজারাদারি পক্ষের অভিযোগ, গত ১ বৈশাখ থেকে জৈন্তাপুর উপজেলার বড়গাং নদীর ইজারা গ্রহণ করেন সনি সোহা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার চন্দন তালুকদার। সম্প্রতি একটি চক্র ইজারাদারের বৈধ ভাবে বড়গাং নদী হতে বালু আহরণকালে বারকী শ্রমিকদের গতিরোধ করে নৌকা প্রতি ৩শত থেকে ৫শত টাকা করে দাবি করে।
তাদের অভিযোগ, শ্রমিকরা ইজারাকৃত নদী হতে বালু আনতে টাকা দিতে অস্বীকার করলে মাঝের বিল গ্রামের মখলিছ মিয়ার ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮) বারকী শ্রমিকদের উপর দা নিয়ে অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় উপজেলার গাতি গ্রামের বাবুল নাথ এর ছেলে সন্তোয় কুমার (৩৫) আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
এদিকে ইজারাদারের বৈধ কোয়ারী হতে বালু আহরনে চাঁদাবাজির সংবাদ পেয়ে এলাকার লোকজন তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গেলে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বেলা ১২টায় পুনরায় তারা চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা এসে চাঁদা দাবী করে। শ্রমিকরা চাঁদা না দিলে তারা হামলা করে।
এদিকে ইজারাদারের পক্ষের আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সরকারি নিয়মে আমরা বালু আহরণ করছি। গত কয়েক দিন হতে চক্রের সদস্যরা বেআইনিভাবে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে। শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় ও দাবী করেছে। চাঁদা না দেওয়ার কারনে তারা হামলা করে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেন, চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার (লাবনী) বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। আমি চলে আসার পরে শুনেছি পুনরায় শ্রমিকদের উপর হামলা করা হয়। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নিদের্শ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।