, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা! যুক্তরাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত সফরে অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ‘সৎ ও পেশাদার সাংবাদিকতা সমাজের উন্নয়নে অপরিহার্য’ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুনামগঞ্জে ভাতিজার হাতে প্রাণ গেলো চাচির অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা সিলেটে আমরা আর পাথর উত্তোলনে অনুমতি দিবো না, কোয়ারিও লিজ দেওয়া হবে না : পরিবেশ উপদেষ্টা সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভ গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ নয়, কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত : জ্বালানি উপদেষ্টা ফ্রান্সে সিলেটের শিশু শিক্ষার্থী রুবায়েত মহসিন’র অসাধারণ কৃতিত্ব ‘সিলেটে অপসাংবাদিকতার চর্চা বন্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে’
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “জনগণের সম্পদ পাথর যারা বেআইনিভাবে উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে।

শনিবার বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সরকার পাথর কোয়ারি থেকে যে রাজস্ব পায়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচলের কারণে। দেশে ব্যবহৃত পাথরের মাত্র ৬ শতাংশ আসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এ সামান্য প্রয়োজন মেটাতে আমাদের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়।

এর আগে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিলেট অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা, বন সংরক্ষণ এবং নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “সিলেটের অনন্য প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। নদী ও হাওর রক্ষা, খননকৃত বালুর ব্যবস্থাপনা, পাহাড়-টিলা সংরক্ষণে দপ্তরসমূহের মধ্যে সমন্বয় ও তথ্য বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সরকারি অফিসে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে নির্দেশনা দেন এবং পাহাড়-টিলা কাটায় ‘না’ বোঝাতে সাইনবোর্ড স্থাপনের নির্দেশ দেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আকাশমণি গাছ কেটে স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণের জন্য তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। একইসাথে অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের তাগিদ দেন।

দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন যেখানে যেখানে কৃষিজমি পতিত পরে আছে, পতিত জমিগুলোকে আবাদের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।

এর আগে উপদেষ্টাদ্বয় জলযানে জাফলংয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাঁরা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

জনপ্রিয়

জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা!

অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা

প্রকাশের সময় : ১৩ ঘন্টা আগে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “জনগণের সম্পদ পাথর যারা বেআইনিভাবে উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে।

শনিবার বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সরকার পাথর কোয়ারি থেকে যে রাজস্ব পায়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচলের কারণে। দেশে ব্যবহৃত পাথরের মাত্র ৬ শতাংশ আসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এ সামান্য প্রয়োজন মেটাতে আমাদের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়।

এর আগে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিলেট অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা, বন সংরক্ষণ এবং নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “সিলেটের অনন্য প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। নদী ও হাওর রক্ষা, খননকৃত বালুর ব্যবস্থাপনা, পাহাড়-টিলা সংরক্ষণে দপ্তরসমূহের মধ্যে সমন্বয় ও তথ্য বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সরকারি অফিসে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে নির্দেশনা দেন এবং পাহাড়-টিলা কাটায় ‘না’ বোঝাতে সাইনবোর্ড স্থাপনের নির্দেশ দেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আকাশমণি গাছ কেটে স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণের জন্য তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। একইসাথে অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের তাগিদ দেন।

দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন যেখানে যেখানে কৃষিজমি পতিত পরে আছে, পতিত জমিগুলোকে আবাদের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।

এর আগে উপদেষ্টাদ্বয় জলযানে জাফলংয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাঁরা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।