পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে চলছে পশু কুরবানি। বিশেষ করে নগরীদ টিলাগড়, সুবিদবাজার, কাজীটুলা, আখালিয়াসহ দক্ষিণ সুরমার কিছু এলাকায় সকাল থেকেই কুরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের ব্যস্ত দৃশ্য চোখে পড়েছে।
রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই কুরবানি শুরু হয়।
জানা গেছে, গতকাল ঈদের দিন কসাই সংকট এবং সময় ও প্রস্তুতির অভাবে কুরবানি করতে না পেরে অনেকেই আজ করছেন। কারও কারও গরু হাট থেকে বাড়ি পৌঁছেছে ঈদের দিন রাতে। আবার কেউ কেউ ইচ্ছে করেই ভিড় এড়িয়ে আজ কুরবানি করছেন, যাতে সময় নিয়ে কাজ করতে পারেন।
জাহেদ আহমদ বলেন, কসাই ঈদের দিন তিন জায়গায় কুরবানির করার কাজ নিয়েছিলো। সেজন্য আমাদের গরু কাটার সময় পায়নি। তাই আজ সকালে নিজেরাই জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছি।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১১ জিলহজও কুরবানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের বর্ণনায় এ দিনটি মর্যাদাপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কুরবানির দিন, এরপরের দিনটি। তাই অনেকেই আজও কুরবানি করছেন। শরিয়ত অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ জিলহজ, মোট তিন দিন কুরবানি করার বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনো দিন কুরবানি দেওয়া বৈধ, তবে প্রথম দিন কুরবানি করা সবচেয়ে উত্তম। সময়মতো কুরবানি না হলে তার পরিবর্তে সদকা করারও নির্দেশ রয়েছে।