অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়ার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিবরণী দাখিল না করায় দুদক আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত মামলা নং-০৪ (সিলেট মহানগর) দায়ের করেন।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া নির্বাচনী হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ে আনোয়ারুজ্জামানের লন্ডনে ৪,০০০ বর্গফুটের একটি বাড়ি ও ১,৮০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি পূর্বাচলে রাজউক বরাদ্দকৃত পাঁচ কাঠা জমির তথ্যও তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনায় দেখা যায় ২০২২–২০২৫ অর্থবছরে তার ঘোষিত মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৪,৪৪,০৯৮ টাকা। তবে এই সম্পদ কীভাবে অর্জিত হয়েছে তার গ্রহণযোগ্য কোনো দালিলিক ব্যাখ্যা দুদক পায়নি। পারিবারিক ব্যয় (১৩,২৫,০০০ টাকা) ও মেয়র হিসেবে বেতন-ভাতা বাবদ (১০,৫৩,০০০ টাকা) হিসাব গ্রহণযোগ্য হলেও মোট ৯৩,৪৪,০৯৮ টাকা অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দুদক ধারণা করছে।
বিবরণী জমা দিতে গিয়ে দুদক কর্মকর্তারা তার বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় পান। উপস্থিত সাক্ষী রেখে গেটে সম্পদ বিবরণীর ফরম ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিনি বর্তমানে সেখানে থাকেন না এবং তার স্থায়ী আবাস ও ব্যবসা লন্ডনে।
দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত বলেন, নির্ধারিত সময়ে সম্পদের তথ্য না দেওয়া এবং সময় বৃদ্ধির আবেদন না করায় কমিশনের অনুমোদন নিয়ে নন-সাবমিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















